চায়নাম্যান লাও, হাঁকলেন স্মিথরা

বৃহস্পতিবার আবার একটা ম্যাচ, আবার এক লড়াই। এ বার ইডেনে। তাই সোমবার কলকাতায় পা রেখেও চায়নাম্যান বোলারের খোঁজ শুরু করে দিলেন স্টিভ স্মিথরা। খোঁজ পড়ল, এই শহরে কোথায় পাওয়া যাবে একজন ভাল চায়নাম্যান বোলার?

Advertisement

রাজীব ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৩
Share:

ভারতে এসে এ বার সাবধানী স্মিথ। ছবি: পিটিআই

ভারতীয় স্পিন বনাম অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং— চলতি ওয়ান ডে সিরিজ ক্রমশ যেন এই যুদ্ধেই পরিণত হচ্ছে।

Advertisement

ভারতীয় দলের তরুণ স্পিনার কুলদীপ যাদবকে সামলানোর মহড়া দিতে চেন্নাইয়ের নেটে কেরল থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল এক চায়নাম্যান বোলারকে। সাহায্য নেওয়া হয় চেন্নাইয়ের স্থানীয় স্পিনার মুরুগান অশ্বিনেরও। তাঁদের বোলিংয়ে মহড়া দেওয়ার পরেও অবশ্য রবিবার চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ভারতীয় স্পিনেই ধস নামে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে।

বৃহস্পতিবার আবার একটা ম্যাচ, আবার এক লড়াই। এ বার ইডেনে। তাই সোমবার কলকাতায় পা রেখেও চায়নাম্যান বোলারের খোঁজ শুরু করে দিলেন স্টিভ স্মিথরা। খোঁজ পড়ল, এই শহরে কোথায় পাওয়া যাবে একজন ভাল চায়নাম্যান বোলার? ম্যাক্সওয়েলদের নেটে যিনি কুলদীপের বিকল্প হিসেবে তাঁদের সাহায্য করতে পারেন। কুলদীপের চিন্তায় যেন রাতে ঘুম চলে যাওয়ার উপক্রম স্মিথদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: চেন্নাই হবে না ইডেনের বাইশ গজ

এ বার উপমহাদেশে আসার আগে এখানকার স্পিনারদের সামলানোর জন্য সব রকম মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। নেটে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করা ছাড়াও সামনের পায়ে প্যাড না পরে প্র্যাকটিস করার ঝুঁকিও নিয়েছেন অজি ব্যাটসম্যানদের কেউ কেউ। তবুও স্পিন জুজুর ভয় থেকে কিছুতেই নিজেদের মুক্তি দিতে পারছেন না স্মিথরা। রবিবার চিপকেও অস্ট্রেলিয়ার ন’টা উইকেটের মধ্যে পাঁচটাই নেন দুই স্পিনার কুলদীপ ও যুজবেন্দ্র চহাল। অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজা দলে না থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার এই অবস্থা। ওঁরা থাকলে কী হত? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে এখনই।

ফের যাতে এমন প্রশ্ন শুনতে না হয়, তার জন্য মরিয়া অস্ট্রেলিয়া। সোমবার দুপুরে চেন্নাই থেকে তাঁদের বিশেষ বিমান কলকাতায় পৌঁছল নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় চল্লিশ মিনিট দেরিতে। হোটেলে ঢুকেই আগে অস্ট্রেলীয় দলের বিসিসিআই নিযুক্ত ম্যানেজার সিএবি-র স্থানীয় সংযোগরক্ষাকারী অফিসারদের জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার দুপুরে ইডেনে তাঁদের নেট প্র্যাকটিসে একজন বা দু’জন ভাল চায়নাম্যান বোলার খুব দরকার। তার পরেই সিএবি থেকে খোঁজ পড়ে স্থানীয় ক্রিকেটে কোথায় চায়নাম্যান বোলার রয়েছে। কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু তাদের পারফরম্যান্স তেমন ভাল নয় শুনে বাতিল করে দেওয়া হয়। সিএবি-র কর্তারাও ব্যাপারটা নিয়ে বেশ বিরক্ত। একজন বলেন, ‘‘এটা যদি ওরা আগে থেকে আমাদের জানিয়ে রাখত, তা হলে আমরা আগে থেকেই দু-একজন ভাল চায়নাম্যান বোলার খোঁজা যেত। এখন রাতারাতি কোথায় পাই ভাল চায়নাম্যান বোলার? সারা চেন্নাই খুঁজে পায়নি কাউকে, কলকাতায় কোথায় পাব? ’’

সারা দিন ধরে খোঁজ করার পরে দু-একজনকে পাওয়া গেল বটে। জানা গেল পার্সি ক্লাব ও সিটি এসি ক্লাবের দু’জন স্পিনারকে পাওয়া গিয়েছে, যারা চায়নাম্যান বোলিংটা করতে পারে। সন্ধ্যার দিকে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে, ভারতীয় দল থেকে নাকি অস্ট্রেলিয়ার নেটে চায়নাম্যান বোলার পাঠাতে বারণ করা হয়েছে। যদিও সিএবি বা ভারতীয় দল সূত্রে এই খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। সিএবি-র এক শীর্ষকর্তা বলে দেন, ‘‘আমাদের কাছে এমন কোনও অনুরোধ ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে আসেনি।’’ ঠিক হয়েছে অজিদের পাঁচজন পেসার, দু’জন বাঁহাতি স্পিনার, দু’জন অফ স্পিনার ও একজন গুগলি বোলার দেওয়া হবে। তবে মঙ্গলবার ইডেনে যখন নেটে নামবেন অজিরা, তখন তাঁদের মধ্যে কোনও চায়নাম্যান বোলার থাকবেন কি না, সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement