India Vs Bangladesh

জোর টক্কর হলেও টি২০-তে বিরাটদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত জয় পায়নি বাংলাদেশ

রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এখনও পর্যন্ত দুই দেশ আটটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে আটটিই জিতেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত না জিতলেও এই ফরম্যাটে ভারতকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বেগ দিয়েছে বাংলাদেশ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:০৭
Share:
০১ ১২

রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এখনও পর্যন্ত দুই দেশ আটটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে আটটিই জিতেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত না জিতলেও এই ফরম্যাটে ভারতকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বেগ দিয়েছে বাংলাদেশ।

০২ ১২

দুই দেশের মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল ২০০৯ সালের ৬ জুন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ২৫ রানে জিতেছিল ভারত। ট্রেন্টব্রিজে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৮০ রান। জবাবে ১৫৫ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন প্রজ্ঞান ওঝা।

Advertisement
০৩ ১২

মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ২০১৪ বিশ্বকাপের এই ম্যাচে আট উইকেটে জেতে ভারত। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৩৮ রান। এক সময় ২১ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল, শামসুর রহমান ও শাকিব আল হাসানকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান এনামুল-মাহমুদুল্লাহ লড়াইয়ে ফেরান।

০৪ ১২

১৩৯ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শিখর ধবনকে দ্রুত হারায় ভারত। তারপর রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহালি দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ রান যোগ করেন। ৪৪ বলে ৫৬ করে ফেরেন রোহিত। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি চারে নেমে ১২ বলে ২২ করে জেতান দলকে। ৫০ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন কোহালি। ১৫ রানে দুই উইকেটের জন্য ম্যাচের সেরা হন অশ্বিন।

০৫ ১২

২০১৬ এশিয়া কাপের এই ম্যাচে ৪৫ রানে জিতেছিল ভারত। মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মার ৮৩ রানের সুবাদে ভারত ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৬ রান। ১৬৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাত উইকেট খুইয়ে ১২১ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। ২৩ রানে তিন উইকেট নেন আশিস নেহরা। ম্যাচের সেরা হন রোহিত।

০৬ ১২

মিরপুরে ২০১৬ এশিয়া কাপ ফাইনালের এই ম্যাচ কমিয়ে আনতে হয়েছিল ১৫ ওভারে। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২০ রান। জবাবে ১৩.৫ ওভারে জিতে যায় ভারত (১২২-২)। শিখর ধবন (৬০), বিরাট কোহালি (অপরাজিত ৪১) রান পান। জয় আসে আট উইকেটে। ম্যাচের সেরা হন ধবন।

০৭ ১২

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচে ১ রানে জেতে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৪৬ তোলে ভারত। সর্বাধিক ৩০ করেন সুরেশ রায়না। রোহিত (১৮), ধবন (২৩), কোহালি (২৪), হার্দিক (১৫), ধোনি (১৩), যুবরাজ (৩), জাডেজা (১২)— কেউই বড় রান পাননি। মুস্তাফিজুর রহমান নেন দুই উইকেট।

০৮ ১২

১৪৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে থামে ১৪৫ রানে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। শেষ তিন বলে দরকার ছিল দুই রানের। কিন্তু মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে যেতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। পরের বলে আউট মাহমুদুল্লাহ। শেষ বলে মুস্তাফিজুরকে রান আউট করেন ধোনি। ভারত জেতে এক রানে।

০৯ ১২

শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে ছয় উইকেটে বাংলাদেশকে হারায় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ আট উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৯। জয়দেব উনাদকট নেন তিন উইকেট। জবাবে ১৮.৪ ওভারে জিতে যায় ভারত (১৪০-৪)। ধবন করেন ৫৫।

১০ ১২

ত্রিদেশীয় সিরিজেই ফের বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারায় ভারত। প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে তিন উইকেটে ১৭৬ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক রোহিত (৮৯), রায়না (৪৭) রান পান। জবাবে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৯। ২২ রানে তিন উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ম্যাচের সেরা হন রোহিত।

১১ ১২

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৬ তুলেছিল বাংলাদেশ। সাব্বির রহমান ৫০ বলে করেন ৭৭। লেগস্পিনার যুজভেন্দ্র চহাল ১৮ রানে নেন তিন উইকেট। ৩৩ রানে দুই উইকেট নেন উনাদকট। ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩২ রানের মধ্যে ধবন-রায়নাকে হারায় ভারত।

১২ ১২

নিয়মিত উইকেট হারানোয় চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল ১২ রান। আর এই পরিস্থিতিতেই পরিত্রাতা হয়ে ওঠেন দীনেশ কার্তিক। আট বলে ২৯ রানে অপরাজিত থেকে জেতান তিনি। জয় আসে শেষ বলে। ছয় উইকেটে জেতে ভারত (১৬৮-৪)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement