উইকেট নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস আরশদীপ সিংহ, সূর্যকুমার যাদব এবং মহম্মদ সিরাজের। ছবি: পিটিআই।
আমেরিকার বিরুদ্ধে ১৮তম ওভারে একটি ক্যাচ ফেলেছিলেন মহম্মদ সিরাজ। তার পরেও সেরা ফিল্ডার হলেন তিনিই। কারণ আমেরিকার বিরুদ্ধে বাউন্ডারিতে একটি ভাল ক্যাচও নেন সিরাজ। তাই ঋষভ পন্থ এবং সূর্যকুমার যাদবকে হারিয়ে সেরা ফিল্ডার হলেন তিনি। আর সিরাজের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন যুবরাজ সিংহ।
গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপ থেকে ভারতীয় সাজঘরে একটি পুরস্কার চালু হয়েছে। প্রতি ম্যাচ শেষে সেরা ফিল্ডার বেছে নেন দলের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। আমেরিকার বিরুদ্ধে সেরা ফিল্ডার হওয়ার দৌড়ে ছিলেন পন্থ, সূর্য এবং সিরাজ। ভারতের ফিল্ডিং কোচ বলেন পন্থ যে ভাবে উইকেটের পিছনে শরীর ছুড়ে একের পর এক রান বাঁচিয়েছেন এবং ক্যাচ নিয়েছেন সেটার প্রশংসা করতে হবে। সূর্যের প্রশংসা করেন একটি বাউন্ডারি বাঁচানোর জন্য। সিরাজকে নিয়ে বলার সময় দিলীপ উল্লেখ করেন তাঁর নেওয়া ক্যাচের। অষ্টম ওভারে বাউন্ডারিতে অ্যারন জোন্সের ক্যাচ ধরেন সিরাজ।
সিরাজকে পুরস্কার দিতে বুধবার ভারতের সাজঘরে আসেন যুবরাজ সিংহ। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন তিনি। অলরাউন্ডার যুবরাজ বিখ্যাত ছিলেন তাঁর ফিল্ডিংয়ের জন্য। কভারে শরীর ছুড়ে বহু ক্যাচ নিয়েছেন, রান বাঁচিয়েছেন। যা দলকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম অ্যাম্বাসেডর তিনি। সেই যুবরাজ সিরাজের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে এসে বলেন, “কোনও চাপ নেওয়ার দরকার নেই। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলো।”
ম্যাচে আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রথমে বল করে ভারত। ১১০ রান করে আমেরিকা। ১৮.২ ওভারে সেই রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ৭ উইকেটে জেতেন সূর্যকুমারেরা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।