জয়ের উচ্ছ্বাস আমেরিকার ক্রিকেটারদের। ছবি: এএফপি।
কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করল অন্যতম আয়োজক আমেরিকা। প্রথমে ব্যাট করে কানাডা করে ৫ উইকেটে ১৯৪। জবাবে ১৭.৪ ওভারে আমেরিকার ৩ উইকেটে ১৯৭। প্রস্তুতি সিরিজ়ে বাংলাদেশকে হারানো আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে জয় তুলে নিল মোনাঙ্ক পটেলের দল।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আমেরিকার অধিনায়ক মোনাঙ্ক। কানাডার দুই ওপেনার শুরুটা খারাপ করেননি। অ্যারন জনসন ১৬ বলে ২৩ রান করেন। অন্য ওপেনার নভনীত ধালিওয়াল ৪৪ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। ৬টি চার এবং ৩টি ছয় মারেন তিনি। তিন নম্বরে নামা পারগত সিংহ (৫) রান পেলেন না। চার নম্বরে নেমে নিকোলাস কির্টন ৩১ বলে ৫১ রান করেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা। এ ছাড়া শ্রেয়স মুভা ১৬ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন ২টি করে চার এবং ছয় মেরে।
আমেরিকার বোলারদের মধ্যে সফলতম হরমীত সিংহ ২৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। ২৯ রানে ১ উইকেট কোরি অ্যান্ডারসনের। ৪১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন আলি খান।
জয়ের জন্য ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করতে পারেনি আমেরিকা। ওপেনার স্টিভন টেলর (শূন্য) ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান। অপর ওপেনার অধিনায়ক মোনাঙ্ক ১৬ বলে ১৬ রান করেন। ৪২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় আমেরিকা। তবে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে আন্দ্রিস গোউস এবং অ্যারন জোন্সের আগ্রাসী ব্যাটিং আমেরিকাকে জয় এনে দেয়। তাঁদের জুটিতে ওঠে ১৩১ রান। আন্দ্রিস করেন ৪৬ বলে ৬৫ রান। ৭টি চার এবং ৩টি ছয় মারেন তিনি। বেশি আগ্রাসী ছিলেন জোন্স। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪টি চার এবং ১০টি ছক্কা মারেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ইনিংসে এর আগে কোনও ব্যাটার আমেরিকার হয়ে এত ছক্কা মারতে পারেননি। শেষে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যান্ডারসন।
কানাডার সফলতম বোলার ডিলন হেইলিগার ১৯ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। কালিম সানা নিয়েছেন ৩৪ রানে ১ উইকেট। কানাডার বাকি বোলারেরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি।