বিশ্বকাপ ছুঁলেন না নরেন্দ্র মোদী। ছুঁয়ে থাকলেন কাপ ধরে থাকা রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়ের হাত। (চিহ্নিত) ছবি: এক্স (টুইটার)।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। মোদীর হাতে ট্রফি তুলে দিতে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড়। কিন্তু এই দু’জনের সঙ্গে ছবি তুললেও সেই সময় ট্রফিতে হাত দেননি মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যে সব ছবি বা ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদীকে ট্রফিতে হাত দিতে দেখা যায়নি। রোহিত এবং দ্রাবিড় তাঁর কাছে ট্রফি নিয়ে যান। মোদী দু’জনের হাত ধরে ছবি তোলেন। যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও ট্রফিতে হাত দিতে দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে।
মোদীর সমালোচকেরা এই ঘটনার নিন্দা শুরু করেছেন। তাঁরা গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালকে টেনে এনেছেন। সে বার মোদীর নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল ভারত। গোটা দল যখন ভেঙে পড়েছিল, তখন ড্রেসিং রুমে ঢুকে ক্রিকেটারদের বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন। গোটা ড্রেসিংরুম যখন হারের যন্ত্রণায় কাঁদছে, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়া মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। প্রশ্ন উঠেছিল, এরকম কি করা যায়? মহম্মদ শামিকে বুকে মোদীর জড়িয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার আগুনে ঘি পড়েছিল। বলা হয়েছিল, শামি মুসলিম বলেই তাঁকে আলাদা করে বুকে টেনে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর সমালোচকেরা এখন বলছেন, তখনকার ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্যই মোদী অত্যন্ত সচেতন ভাবে এ বার বিশ্বকাপ ছুঁলেন না।
মোদীর সমর্থকেরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী তো ঠিকই করেছেন। তিনি বিরল শিষ্টতা দেখিয়েছেন। বিশ্বকাপ অর্জন করতে হয়। একটি বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে থাকে কয়েক বছরের নিরলস পরিশ্রম, সাধনা। প্রয়োজন হয় নিখুঁত পরিকল্পনার। বিশ্বকাপের মতো ট্রফিতে যে কারও হাত দেওয়াও শোভা পায় না। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফিতে হাত দিতে পারতেন। কিন্তু দেশের ক্রিকেটারদের পরিশ্রম, লড়াই, দক্ষতাকে সম্মান প্রদর্শন করেছেন তিনি। ক্রিকেটারদের অর্জিত খেতাব হাতে নিয়ে গর্বিত হতে চাননি। ভারতীয় দলের বিশ্বজয়েই খুশি থাকতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।