১৬ ঘণ্টার বিমান যাত্রা। একঘেয়েমি কাটাতে মাঝ আকাশেও বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন ক্রিকেটারেরা। নিজেদের মধ্যে রসিকতা, খুনসুটি করেই রোহিতেরা পাড়ি দিয়েছেন ১৩,৪৫৮ কিলোমিটার পথ।
সকাল ৬:০৭ মিনিটে বিমান দিল্লির মাটি ছোঁয়ার পর বাইরে আসার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে পড়েন ক্রিকেটারেরা। দরজা খোলার আগেই রোহিতেরা আসন ছেড়ে উঠে পড়েন। অবশেষে দেশে ফেরার স্বস্তি ধরা পড়ে ক্রিকেটারদের মুখে।
যাত্রা শেষে বিমানবন্দরেই কেক কাটেন রোহিত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ কেক খাইয়ে দেন রোহিতকে।
ভোর থেকে বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাঁদের হাতে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। অনেকে পরে ছিলেন জাতীয় দলের জার্সি। ক্রিকেটারদের দেখা মাত্র উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা।
দিল্লি বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যান ক্রিকেটারেরা। রোহিতদের জন্য নানা আয়োজন ছিল। হোটেলে ঢোকার মুখে রোহিত, সূর্যকুমার যাদবেরা ভাঙড়ার তালে মেতে ওঠেন।
হোটেলে কোহলির সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা। ভাইয়ের গলায় বিশ্বকাপের পদক পরিয়ে দেন কোহলি।
হোটেলে ঢোকার পর নতুন জার্সি দেওয়া হয় ক্রিকেটারদের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের লোগোর উপরে নতুন একটি তারা যোগ হয়েছে। লেখা ‘চ্যাম্পিয়ন’। সঞ্জু স্যামসন নতুন জার্সি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন।
সকাল থেকে হোটেলে রাখা ছিল বিশেষ ভাবে তৈরি কেক। হোটেল থেকে বেরোনোর সময় সেই কেক কেটে আর এক বার বিশ্বজয় উদ্যাপন করেন কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং ক্রিকেটারেরা।
হোটেল থেকে বিশ্বজয়ীরা যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে প্রাতরাশ সারেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেন কোচ এবং অধিনায়ক।
বিশ্বজয়ীদের সামনে পেয়ে বিশ্বকাপ নিয়ে নানা কৌতূহল মিটিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী। দলের সকলের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ক্রিকেটারেরা সোজা বিমানবন্দরে চলে যান। বিশেষ বিমানে তাঁদের মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়।