পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উইকেট নিয়ে উল্লাস যশপ্রীত বুমরার। ছবি: পিটিআই।
তিনটি স্পেলেই উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রথম স্পেলে বাবর আজ়ম। দ্বিতীয় স্পেলে মহম্মদ রিজ়ওয়ান। তৃতীয় স্পেলে ইফতিখার আহমেদ। তিনটি বলে ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের আশা। ১১৯ রান করেও ৬ রানে জিতেছে ভারত। ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। আর তার পর বুমরা বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি অভিমানী।
চোটের কারণে ২০২২ সালের প্রায় পুরোটাই খেলতে পারেননি বুমরা। এক বার মাঠে ফিরে আবার চোট পেয়েছিলেন। পিঠের ব্যথা ভুগিয়েছিল তাঁকে। অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। সেই সময় অনেকেই ভেবেছিলেন তাঁর কেরিয়ার হয়তো শেষ। পাকিস্তানকে হারিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সেই কথাই মনে করিয়ে দেন বুমরা। তিনি বলেন, “এক বছর আগে সবাই বলছিল, আমি হয়তো আর খেলতে পারব না, আমার কেরিয়ার শেষ। এখন আবার সব বদলে গিয়েছে। তারাই এখন আমার প্রশংসা করছে।”
সমালোচনায় খারাপ লাগলেও বাইরের দুনিয়ার কথায় তিনি খুব একটা কান দেন না বলেই জানিয়েছেন বুমরা। ভারতীয় পেসার বলেন, “আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। সামনে যে চ্যালেঞ্জ থাকে তার মোকাবিলা করি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। শুধু নিজের খেলায় মন দিই। বাইরে কে কী বলছে, সে দিকে কান দিই না। সমালোচনা হবেই। বিতর্ক হবেই। কিন্তু সে সব কেউ মনে রাখবে না। দেশকে জেতালে সবাই মনে রাখবে। আমি আমার চারপাশে একটা বলয় বানিয়ে রেখেছি। তার মধ্যে কাউকে ঢুকতে দিই না।”
চলতি বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে বোলারদের দাপট। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে তা আরও বেশি। বোলার হিসাবে ভাল লাগছে বুমরার। তিনি বলেন, “আইপিএলের পরে বিশ্বকাপ খেলতে এসে অনেকটা স্বস্তি পেয়েছি। এখানে বোলারেরা সুবিধা পাচ্ছে। পিচ ও আবহাওয়া কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।”
ছোট থেকেই তিনি ব্যাট ও বলের লড়াই দেখতে ভালবাসতেন। কিন্তু ব্যাটারেরা দাপট দেখালে টেলিভিশন বন্ধ করে দিতেন বলে জানিয়েছেন বুমরা। তিনি বলেন, “ব্যাটের বিরুদ্ধে বলের লড়াই ভাল লাগে। কিন্তু ব্যাটের বিরুদ্ধে যদি ব্যাটের লড়াই শুরু হয়, তখনই টেলিভিশন বন্ধ করে দিই। আমি ছোট থেকেই বোলিংয়ের ভক্ত। তাই এখনও পর্যন্ত যে ভাবে এই বিশ্বকাপে বোলারেরা দাপট দেখাচ্ছে, তা দেখে খুব ভাল লাগছে।”