উচ্ছ্বাস সূর্যকুমার যাদব এবং অক্ষর পটেলের। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২৪ রানে জয়ী ভারত। প্রথমে ব্যাট হাতে রোহিত শর্মার ৯২ রান। পরে বল হাতে আরশদীপ, যশপ্রীত বুমরাদের দাপট। অস্ট্রেলিয়া ব্যাট হাতে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করে ফেললেন রোহিতেরা।
বড় শট খেলতে গিয়ে একের পর এক উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। তাতেই ম্যাচ নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নিলেন রোহিত শর্মারা। না হলে ২০৫ রান তুলেও স্বস্তি ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের মনে। একের পর এক ক্যাচ ফেলার পরেও ম্যাচ জিততে পেরেছে ভারত।
এ বার আউট গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হলেন তিনি। ১২ বলে ১৯ রান করে আউট হলেন ম্যাক্সওয়েল।
বাউন্ডারিতে শরীর ছুড়ে এক হাতে ক্যাচ নিলেন অক্ষর পটেল। মিচেল মার্শের মারা বল ধরলেন তিনি। ফেরালেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে। কুলদীপের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট মার্শ।
শুরুতেই ওয়ার্নারের উইকেট পেয়ে ভারতের যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, তা উধাও। দু’টি ক্যাচ ফেললেন ভারতীয় ফিল্ডারেরা। তার পরেই মিচেল মার্শ এবং ট্রেভিস হেড বড় শট খেলতে শুরু করেন। তাঁদের দাপটে পাওয়ার প্লে-তেই অস্ট্রেলিয়া ৬৫ রান তুলে ফেলে।
প্রথম ওভারেই ওয়ার্নারের উইকেট তুলে নিলেন আরশদীপ সিংহ। ব্যাটে খোঁচা লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক পন্থের হাতে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২০৫ রান তুলল ভারত। সেন্ট লুসিয়ার মাঠে শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন রোহিত। তাঁর দাপটেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি রান তুলল ভারত। শেষবেলায় হার্দিক পাণ্ড্য ১৭ বলে ২৭ রান করেন। ৫ বল খেলা জাডেজাও একটি ছক্কা মারেন। ভারতীয় সমর্থকদের আফসোস সূর্যকুমারের উইকেট নিয়ে। তিনি নিজের উইকেটটি দিয়ে এলেন। না হলে আরও কিছুটা রান তুলতে পারত ভারত।
শেষবেলায় বড় শট খেলার চেষ্টায় ছিলেন শিভম দুবে। কিন্তু ঠিক মতো ব্যাটে বলে হল না। ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। ২৮ রান করে আউট শিবম।
১৬৬ রান তুলে নিয়েছে ভারত। এখনও চার ওভার বাকি। কিন্তু রোহিত এবং সূর্যকুমার আউট হওয়ার পর রানের গতি কিছুটা কমেছে। ক্রিজ়ে রয়েছেন শিবম দুবে এবং হার্দিক পাণ্ড্য। ২০০ রান পার করার জন্য ভারতের ভরসা এখন তাঁরাই।
অযথা বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হলেন সূর্যকুমার। স্টার্কের বলে কোনও গতি ছিল না। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ঝুঁকে গিয়ে ব্যাট চালালেন সূর্যকুমার। ব্যাটে লেগে বল চলে গেল উইকেটরক্ষকের হাতে।
স্টার্কের এক ওভারে ২৯ রান নিয়েছিলেন রোহিত। তার মধ্যে একটি রান ওয়াইড ছিল। সেই বাঁহাতি পেসারের ইয়র্কারেই বোল্ড হলেন ভারত অধিনায়ক। ৯২ রান করে আউট রোহিত।
১১৪ রান তুলে ফেলল ভারত। তার মধ্যে রোহিত একাই করেছেন ৮৯ রান। পুল, হুক যেমন করছেন, তেমনই ড্রাইভ মারছেন কভারে। লং অফের উপর দিয়ে তুলে দিচ্ছেন বল। একটি মারলেন স্টেডিয়ামের ছাদে। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের একাই চাপে রাখছেন রোহিত।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮.৪ ওভারে ১০০ রান তুলে নিল ভারত। পুরো কৃতিত্বটাই অধিনায়ক রোহিতের। তিনি একাই খেলছেন কামিন্সদের বিরুদ্ধে। বিরাট (০) এবং পন্থ (১৫) আউট হলেও রোহিত রয়েছেন নিজের মেজাজে। ৭৯ রান করে ফেলেছেন তিনি। মেরেছেন আটটি চার। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে বাকিদের থেকে অন্য পিচে খেলছেন। কোনও সমস্যাই হচ্ছে না ভারত অধিনায়কের।
রোহিত যখন এক দিকে একাই অস্ট্রেলিয়াকে শেষ করে দেওয়ার পণ করেছেন, উল্টো দিক থেকে তখন ধরার বদলে মারতে গেলেন পন্থ। ঠিক মতো ব্যাটে লাগল না বল। মার্কাস স্টোয়নিসের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন হেজ়লউডের হাতে।
প্রথম ৬ ওভারে ৬০ রান তুলল ভারত। এখনও পেসারেরাই বল করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসারের মধ্যে হেজ়লউড কিছুটা সমস্যায় ফেলেছেন ভারতীয় ব্যাটারদের। স্টার্ক এবং কামিন্সের বিরুদ্ধে অনায়াসে বড় শট খেলেছেন রোহিত। অবশ্য হেজ়লউড যে প্রান্ত থেকে বল করেছেন, সে দিক থেকে হাওয়া বইছে। ফলে কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন অসি পেসার।
১৯ বলে অর্ধশতরান করলেন রোহিত। ইতিমধ্যেই পাঁচটি ছক্কা এবং চারটি চার মেরেছেন তিনি। বিরাট আউট হলেও তাঁর অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না ভারত অধিনায়ক।
বৃষ্টি শুরু হল সেন্ট লুসিয়ায়। বন্ধ হল ম্যাচ। ভারত ৪.১ ওভারে ৪৩ রান করেছে। এর মধ্যে ৪১ রানই রোহিত শর্মার।
গত ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল স্টার্ককে। ভারতের বিরুদ্ধে দলে ফেরানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বাঁহাতি পেসারের এক ওভারে উঠল ২৯ রান। রোহিত তাঁর ওভারে চারটি ছক্কা এবং একটি চার মারেন। স্টার্ক একটি বল ওয়াইড করেন। বিরাট যে দিকে ব্যাট করতে গিয়ে আউট হলেন, রোহিত এই ওভারে ছিলেন সেটার উল্টো দিকে। হাওয়ার দিকে ব্যাট করার সুবিধা নিলেন তিনি।