সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারের প্রথম বলে অনবদ্য ক্যাচ ধরে ডেভিড মিলারকে আউট করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। বাউন্ডারি লাইনের ধারে ধরা সেই ক্যাচই ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিল। বলা যায়, ভারতের বিশ্বকাপ জয় প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল। চাপের সময় কী ভাবে ওরকম ক্যাচ ধরেছিলেন সূর্যকুমার? ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ।
দিলীপের বক্তব্য, উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে মিলারের ক্যাচ ধরেছিলেন সূর্যকুমার। হার্দিক পাণ্ড্যের নিচু ফুলটস বলে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন মরিয়া মিলার। সবাই ভেবেছিলেন ছয় হয়ে যাবে। কিন্তু সূর্যকুমারের অন্য রকম ভাবনা ছিল। অনবদ্য ক্যাচ ধরেন। সেই ক্যাচ নিয়ে দিলীপ বলেছেন, ‘‘অনেকেই সূর্যকুমারের ক্যাচটা নিয়ে জানতে চাইছেন। অনুশীলনে এ রকম ক্যাচ ও অন্তত ৫০টা ধরেছে। তবে ম্যাচের সময় সিদ্ধান্তটা ওরই ছিল। উপস্থিত বুদ্ধি এবং ক্রিকেট সচেতনতার উদাহরণ ওই ক্যাচ। বাউন্ডারির দড়ি কোথায় আছে, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ছিল সূর্যকুমারের। তাই ওকে ক্যাচটা ধরার সময় যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। নিজে লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বল শূন্য ছুড়ে দিয়েছিল। আবার মাঠের মধ্যে পা দেওয়ার পর ক্যাচ সম্পূর্ণ করেছে। ওই মুহূর্তে ওটা সম্পূর্ণ সূর্যকুমারের সিদ্ধান্ত।’’
মিলারের ওই ক্যাচের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় দলের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন সূর্যকুমার। খেলা শেষ হওয়ার পর সাজঘরে সূর্যকুমারের হাতে সেরা ফিল্ডারের পদক তুলে দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। দিলীপের মতে, বড় বা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে এই ধরনের পারফরম্যান্সই পার্থক্য তৈরি করে দেয়। ফাইনালের রং বদলে দেওয়া ক্যাচের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ সূর্যকুমারের বলে জানিয়েছেন ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ।