সূর্যকুমার যাদব। ছবি: আইসিসি।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে চাপের মুখে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে ভারতকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর ২৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংসের সুবাদে রশিদ খানের দলকে জয়ের জন্য চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেন রোহিত শর্মারা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে সাহায্য করতে পেরে খুশি সূর্যকুমারও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার নিয়ে সূর্যকুমার জানালেন তাঁর সাফল্যের নেপথ্য কাহিনি। ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটারের বক্তব্য, ‘‘এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে প্রচুর অনুশীলন এবং কঠোর পরিশ্রম। নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং সূচি অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করেছি। মাঠে নেমে কী করতে হবে, সেটা আমার কাছে খুব পরিষ্কার।’’ সূর্যকুমার মেনে নিয়েছেন, বার্বাডোজের ২২ গজে ব্যাট করা সহজ ছিল না। তিনি বলেছেন, ‘‘রশিদ খানের বল খেলা কঠিন হচ্ছিল এই উইকেটে। ওর বিরুদ্ধে সঠিক পরিকল্পনা দরকার। আমার কাছে দলের স্বার্থই অগ্রাধিকার পায়। হার্দিক যখন ব্যাট করে এল, ওকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ‘বল পুরনো হয়ে গিয়েছে। বেশি বল ছাড়া যাবে না। রান নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’’’ হার্দিকের সঙ্গে জুটি নিয়ে বলেছেন, ‘‘রান তোলার গতি বজায় রাখতে চেয়েছিলাম আমরা। তবে ১৬ ওভার পর্যন্ত ঝুঁকি নিতে চাইনি। পরিস্থিতি বুঝে ১৬ ওভারের পর বল তুলে মারার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সে ভাবেই খেলে সাফল্য এসেছে।’’
সূর্যকুমার জানিয়ে দিলেন, ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার না পেলেও তাঁর কোনও আক্ষেপ থাকত না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ম্যাচের সেরার পুরস্কারটা আমাদের দলের কোনও বোলারও পেতে পারত। অন্য কেউ পেলেও আমার খারাপ লাগত না।’’ মনে করা হচ্ছে যশপ্রীত বুমরার কথা বলতে চেয়েছেন। যদিও কোনও বোলারের নাম নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। বুমরা এ দিন ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন। সূর্যকুমার বুঝিয়ে দিয়েছেন পরিশ্রম এবং পরিকল্পনা ছাড়া বড় মঞ্চে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়।