আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতেছে আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দেশকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। সেই ম্যাচে নজির গড়েছেন দলের ক্রিকেটার মহম্মদ নবি। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ৪৫টি দেশের বিরুদ্ধে জেতার নজির গড়েছেন। এই রেকর্ড আর কারও নেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বহু দেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলি তো বটেই, তারা জিতেছে সদস্য দেশগুলির বিরুদ্ধেও। ডেনমার্ক, বাহরিন, মালয়েশিয়ার, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ইরান, তাইল্যান্ড, জাপান, বাহামা, বৎসওয়ানা, জার্সি, তানজানিয়া, ফিজি, ইটালি, আর্জেন্টিনা, পাপুয়া নিউ গিনি, কেম্যান আইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, ভুটান, মলদ্বীপ, বার্বাডোজ়ের মতো দেশগুলির বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে জিতেছেন।
রবিবারের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত কাজে আসেনি। আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ১১৮ রানের জুটি তৈরি করেন। রহমানুল্লাহ গুরবাজ় করেন ৪৯ বলে ৬০ রান। মারেন ৪টি করে চার এবং ছক্কা। অপর আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জ়াদরান খেলেন ৪৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস।
আফগানিস্তানের ইনিংসের শেষ দিকে প্যাট কামিন্স জ্বলে ওঠেন বল হাতে। ১৮তম ওভারের শেষ বলে কামিন্স আউট করেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদকে। ২০তম ওভারেও কামিন্সের হাতে বল তুলে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মার্শ। সে সময় আফগানিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৪১। ওভারের প্রথম দু’বলে কামিন্স আউট করেন করিম এবং গুলবাদিন নাইবকে। নিজের পর পর তিন বলে ৩টি উইকেট তুলে নেন কামিন্স। সম্পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একাধিক হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
জয়ের জন্য ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তাদের প্রথম সারির কোনও ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেননি আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে। দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড (শূন্য) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (৩) দ্রুত ফিরে যান। রান পাননি মার্শও (১২)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাট হাতে একমাত্র লড়াই করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৪১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। স্টোইনিস করেন ১৭ বলে ১১ রান। বাকি কেউই দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়াও পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি।