করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাইছে আইসিসি। ফাইল চিত্র
চলতি আইপিএল-কে অনুকরণ করে আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাইছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সেই জন্য আগামী ২৬ এপ্রিল ভারতে পা রাখছে আইসিসি-র একটি প্রতিনিধিদল। ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতের মাটিতে আয়োজিত হওয়া নিয়ে কোন দ্বিধা ও সংশয় থাকল না। দেশ জুড়ে বাড়তে থাকা কোভিডের জন্য আসন্ন বিশ্বকাপ জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে। সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল আইসিসি। যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অন্যান্য বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন আইসিসি জৈব সুরক্ষা বলয়ের প্রধান ডক্টর ডেভ মাস্কার।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, “ভারতের করোনার হার বাড়তে থাকলেও সুষ্ঠুভাবে আইপিএল আয়োজিত হচ্ছে। কোন বিশেষ পদ্ধতিতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হচ্ছে সেটা সরেজমিনে দেখার জন্য আমাদের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যাবে। সেই দেশের যে যে শহরে আইপিএল খেলা হচ্ছে সেখানে দল ও মাঠগুলোতে কী কী বন্দোবস্ত করা হয়েছে সেগুলো দেখা হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের একটি দল দিল্লি পৌঁছে গিয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখছে। তাই আগামী মে মাসের আগে জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।”
কলকাতা,মুম্বই,চেন্নাই,বেঙ্গালুরু,আমদাবাদ ও দিল্লিতে ম্যাচ হলেও একই দিনে মাত্র দুটো স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করছে বিসিসিআই। আইসিসি সেই দিকেও নজর রেখেছে। ডক্টর ডেভ মাস্কার আরও বলেন, “খেলাধুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের বিনোদন দেওয়াই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। তাই বিশ্বকাপের জন্য একাধিক স্টেডিয়ামকে বেছে নেওয়া হলেও একই দিনে দুটো শহরে ম্যাচ আয়োজন করতে পারি। আইপিএল সে ভাবেই হচ্ছে। বাকি ব্যাপারগুলো আলোচনার মাধ্যমে সেরে নেব।”
তবে আসন্ন বিশ্বকাপ যে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে সেই ইঙ্গিতও তিনি দিয়ে দিলেন। শেষে বলেন, “যে কোনও খেলাধুলায় দর্শকদের উপস্থিতি একান্ত কাম্য। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা সেই দিক নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছি না। ভারতের সম্পর্কে, এই দেশের কোভিড পরিস্থিতিকে বুঝতে হলে সবার আগে বোর্ড কর্তাদের কথা শুনতে হবে। সুষ্ঠুভাবে মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তাই আমরা প্রতিযোগিতা বাতিল করার ঝুঁকি নিতে পারব না।”