জাকা ভাইদের ‘গৃহযুদ্ধে’ জয় সুইৎজারল্যান্ডের

আলবেনিয়াকে ১-০ হারিয়ে ইউরো যাত্রা শুরু করল সুইৎজারল্যান্ড। গ্যালারিতে কোনও ফেডেরার বা হিঙ্গিস ছিলেন না, বরং মাঠের ভেতর দুই সহোদরের প্রতিপক্ষ দু’দেশের জার্সিতে লড়াই ছিল এই ম্যাচের ইউএসপি। পঁচিশ বছরের তউলান্ট জাকা আর তেইশের গ্র্যানিট জাকা। গ্র্যানিট আগামী মরসুমের জন্য আর্সেনালে সই করেছেন পঁয়ত্রিশ লাখ পাউন্ডে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ০৯:৩৮
Share:

আলবেনিয়াকে ১-০ হারিয়ে ইউরো যাত্রা শুরু করল সুইৎজারল্যান্ড। গ্যালারিতে কোনও ফেডেরার বা হিঙ্গিস ছিলেন না, বরং মাঠের ভেতর দুই সহোদরের প্রতিপক্ষ দু’দেশের জার্সিতে লড়াই ছিল এই ম্যাচের ইউএসপি। পঁচিশ বছরের তউলান্ট জাকা আর তেইশের গ্র্যানিট জাকা। গ্র্যানিট আগামী মরসুমের জন্য আর্সেনালে সই করেছেন পঁয়ত্রিশ লাখ পাউন্ডে। সুইৎজারল্যান্ডে জন্মে সে দেশেই বড় হয়েছেন বলে ইউরোয় লাল-সাদা জার্সিতে খেলছেন। দাদা তউলান্ট আলবেনিয়ায় জাকা পরিবারের আদিবাড়ির বাসিন্দা। ইউরোয় নামলেনও সে দেশের হয়ে। এমন দুই ছেলের মা এ দিন মাঠে ছিলেন কিন্তু সমর্থন করলেন কাকে? কাকে আবার— দু’দেশকেই। বড় ছেলে তউলান্টের বান্ধবী লিওনাইট লেকাজকে পাশে নিয়ে ম্যাচ দেখলেও এলমাজ জাকা পরেছিলেন এমন টি-শার্ট, যার অর্ধেকটা সুইৎজারল্যান্ড আর বাকি অর্ধেক আলবেনিয়ার পতাকার রঙের। ম্যাচের শুরুতে দুই ভাই করমর্দন করলেও খেলায় অনেক বার একে অন্যকে কড়া ট্যাকল করেন। এমনকী ৬৩ মিনিটে তউলান্টকে আলবেনিয়া কোচ তুলে নিলে রাগে সাইডলাইনে জলের বোতল আছড়ে মারেন তিনি। বোধহয়, উল্টো দিকে ভাই গ্র্যানিট পুরো সময় খেলায় আঁতে ঘা লেগেছিল তউলান্টের। তাঁদের বাবা রাগিপ আবার এক সময় তিন বছর রাজনৈতিক বন্দি ছিলেন কসোভায়। পঁচিশ বছর বয়সে মুক্তি পাওয়ার পর সংসার পাতেন বাসেলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement