ফাইল চিত্র।
ফের আদালতে ধাক্কা খেলেন খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কুস্তিগির সুশীল কুমার। পর পর দু’টি অলিম্পিক্সে পদকজয়ী তারকার অন্ধকার জগতের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা খবর উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। বৃহস্পতিবার সেই সব ‘সংবেদনশীল’ খবরের উপরে রাশ টানার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনের এক পড়ুয়া। যে আবেদন খারিজও হয়ে গেল। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, প্রচারমাধ্যমের সৌজন্যে সুশীলের জীবন ও সুনাম দুই-ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে!
শুক্রবার আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার পরে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি তা সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দেন। জানিয়ে দেওয়া হয়, জনস্বার্থ মামলা এমন কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা যায় না, যিনি নিজেই সজাগ রয়েছেন। মুখ্য বিচারপতি ডি এন পটেল এবং বিচারপতি জ্যোতি সিংহের বক্তব্য, ‘‘এই আবেদন করা হয়েছে সুশীল কুমারের জন্য। যিনি কোন ধরনের কাজে কী প্রভাব পড়তে পারে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল আছেন। তা ছাড়া, ব্যক্তিবিশেষের জন্য জনস্বার্থ মামলা করা যায় না। তাই এই আবেদন নাকচ করা হচ্ছে।’’
২৩ মে দিল্লি আদালত তরুণ কুস্তিগির সাগর ধনখড়কে খুনের অভিযোগে সুশীলকে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। বিচারকেরা বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। কেউ আইনের উর্ধ্বে নন। অভিযোগ, এ’মাসের শুরুতে দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে সুশীল দলবল নিয়ে মারধর করেন সাগর এবং তাঁর দুই সঙ্গী সোনু ও অমিত কুমারকে। যে ঘটনায় প্রাণ হারান কুস্তিগির সাগর। এর পরে তিন সপ্তাহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সুশীল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সঙ্গী অজয় কুমার। গত ২৩ মে দু’জনেই গ্রেফতার হন। দিল্লি পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২(খুন), ৩৬৫ (অপহরণ) ধারা-সহ অস্ত্র আইন, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, অতিমারির সময় নিয়ম ভঙ্গের মতো বিভিন্ন বিষয়ে মামলা দায়ের করেছে সুশীল ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে।