ফাইল চিত্র।
লর্ডসের পরে হেডিংলে টেস্ট নিয়েও বাড়ছে বিতর্কের মাত্রা। আম্পায়ারের নির্দেশে কেন ঋষভ পন্থকে ব্যাট করার ধরন পাল্টাতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুনীল গাওস্কর। তিনি জানালেন, ক্রিকেটীয় যে নিয়ম রয়েছে তাতে কোনও ভাবেই ঋষভকে ক্রিজ়ের বাইরে গিয়ে ব্যাট করার বিষয়ে নিষেধ করা যায় না।
বৃহস্পতিবার ক্রিজ়ের বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যাট করতে গিয়ে উইকেটের বিপজ্জনক অঞ্চলে ঢুকে পড়ছেন, সেই যুক্তি দেখিয়ে আম্পায়ার ভারতীয় তারকাকে ক্রিজ়ের ভিতরে ঢুকে ব্যাটিং করার নির্দেশ দেন। যা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ময়প্রকাশ করেন ঋষভ। তিনি জানান, আম্পায়ারের নির্দেশেই নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন বদলাতে বাধ্য হন।
আর সেই বিষয় নিয়ে শুক্রবার প্রশ্ন তোলেন গাওস্কর। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কিংবদন্তি ওপেনার বলেন, “খবরটা আমি পড়েছি। ঋষভ যা বলছে তা যদি সত্যি হয়, তা হলে এটা অত্যন্ত বিস্ময়ের যে কেন ওকে ব্যাটিং স্টান্স পরিবর্তন করতে বলা হল? ব্যাটসম্যান পিচের যে কোনও জায়গায় দাঁড়াতে পারে। চাইলে উইকেটের মাঝখানেও দাঁড়াতে পারে।” সেখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, “যখন উইকেট ছেড়ে একজন স্পিনারের বল মারতে যায় ব্যাটসম্যান, তখন কি সেখানে ক্ষত তৈরি হয় না?” আর এক ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকর গোটা বিষয়কে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেন।
পন্থ-বিতর্কের মধ্যেই আবার ভারতীয় সমর্থকদের আশার কথা শোনালেন মহম্মদ শামি। শুক্রবার ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩২ রানে। ডানহাতি জোরে বোলার ৯৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ শুনিয়ে দিয়েছেন, টেস্টে একটা দিন খারাপ যাওয়ার অর্থ লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়া নয়।
শামির মন্তব্য, ‘‘আমরা মোটেই ভেঙে পড়িনি। অতীতে তিন দিনেও ম্যাচ শেষ করেছি। এমনকি অনেক সময় দু’দিনেও। কখনও একটা খারাপ দিন আসতেই পারে। হয়তো প্রথম ইনিংসে অনেক তাড়াতাড়ি সবাই আউট হয়ে গেলাম। তার জন্য একটা লম্বা সময় ধরে ফিল্ডিংও করতে হতে পারে। এ রকম তো ক্রিকেটে হয়ই। কিন্তু ভেঙে পড়ার প্রশ্নই ওঠে না। সিরিজ়ে আরও দু’টি টেস্টে তো বাকিও আছে।’’
বঙ্গ পেসারকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমরা তো ১-০ এগিয়েই আছি। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে মনে নেতিবাচক ভাবনা আসবেই বা কেন? নিজেদের দক্ষতার উপরে বিশ্বাস রেখে সেরা ক্রিকেটটা খেলে গেলেই হল। প্রতিপক্ষ বড় রানের জুটি গড়লে তা ভাঙার দায়িত্ব বোলারদের উপরেই পড়ে। তার জন্য নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে হয়। আমরা তো সেটাও করছি।’’
শামির মতোই প্রত্যয়ী ভারতীয় দলে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি মহম্মদ সিরাজও। প্রথম ইনিংসে তিনিও তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। সিরাজের মনে হচ্ছে,‘‘কখনও সবাই খারাপ খেলতে পারে। কিন্তু তার নেতিবাচক প্রভাব কেন দলের মনোবলে পড়বে? আমরা ১-০ এগিয়ে আছি। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছুই হয়নি। নিজেদের দক্ষতার উপরে আস্থা রাখতে হবে।’’
এ দিকে, ইংল্যান্ড তারকা দাভিদ মালান জানিয়েছেন, চলতি টেস্ট সিরিজ়ের পরে আইপিএলে ভাল ক্রিকেট উপহার দেওয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। তার পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং বছর শেষে অ্যাশেজ়
সিরিজ় নিয়ে ভাববেন।