ভক্ত: টেস্ট ঘিরে ভারতীয় সমর্থকদের উন্মাদনা। আমদাবাদে। পিটিআই।
কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুনীল গাওস্কর মনে করেন, মোতেরায় গোলাপি বলের টেস্টে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন একজনই। তিনি রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে একমাত্র তাঁকে আউট করলেই ম্যাচে ফিরতে পারে ইংল্যান্ড। মোট ১৩ উইকেট পড়া প্রথম দিনের শেষে রোহিত অপরাজিত আছেন ৫৭ রানে। ভারতের রান তিন উইকেটে ৯৯। ইংল্যান্ড এখনও ১৩ রানে এগিয়ে।
গাওস্কর বলেছেন, ‘‘রোহিত যে ভাবে ব্যাট করছে, অজিঙ্ক রাহানের খেলায় যে আত্মবিশ্বাস দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে ইংল্যান্ডের রানকে পিছনে ফেলতে ভারত বদ্ধপরিকর। এমনকি কোনও নৈশপ্রহরীকেও নামাতে হয়নি। অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারলে আমার তো মনে হয় ভারতকে চতুর্থ ইনিংসে আর ব্যাট করতে হবে না। তা হলেও অল্প রান তুললেই চলবে।’’ রোহিতকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত গাওস্করের মন্তব্য, ‘‘ও ভাল করেই জানে এই রকম পরিস্থিতিতে কী ভাবে খেলতে হবে। সেই চেষ্টাও করছে। রোহিত এমন ধরনের ক্রিকেটার, যাকে চাপে রাখা যায় না। অফ, অন— দু’টি দিকে সমান সাবলীল। ওকে শান্ত রাখা খুব কঠিন।’’ যোগ করেছেন, ‘‘মাত্র ১১২ করা একটা দল রোহিতকে খেলতে দিতে পারে না। ওর উইকেটটাই দরকার ইংল্যান্ডের। যদি কোনও ভাবে দ্বিতীয় দিনের শুরুর দিকে ওকে ইংল্যান্ড ফেরাতে পারে, তা হলে ছবিটা পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমি বলতে চাই, রোহিতের উইকেটটাই এই টেস্টে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’’
বিরাট কোহালির আউট প্রসঙ্গে গাওস্করের ব্যাখ্যা, ‘‘অ্যান্ডারসন ক্যাচ ফেলার পরে বিরাট সে ভাবে ইংল্যান্ডের বোলারদের সমস্যায় ফেলতে পারেনি।। তাতে হয়তো ওরা বেশ খুশিই হয়েছে। দিনের শেষে যদি ভারতের দু’উইকেট পড়ত, বিরাট আর রোহিত অপরাজিত থাকত, তা হলে কিন্তু ইংল্যান্ড রাতে ঘুমোতে পারত না। কিন্তু এখন যা অবস্থা, চেতেশ্বর পুজারা শূন্য রানে ফেরায় এবং রাহানে সবে সবে খেলা শুরু করায় রুটদেরও পাল্টা জবাব দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে ওদের ভাল বল করতে হবে। ক্যাচ ফেললেও চলবে না। আর সেটা পারলে হয়তো ভারতকে খুব বেশি রান তুলতে দেবে না ইংল্যান্ড।’’
এ দিকে তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড যে ভাবে ব্যাট করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন গ্রেম সোয়ান। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন এই অফস্পিনার বলেছেন, ‘‘মানছি ভারত অসাধারণ বোলিং করেছে। বিশেষ করে অক্ষর পটেল। কিন্তু মজা হচ্ছে, যে উইকেটগুলো পড়েছে তাদের অনেকেই কিন্তু স্পিনে আউট হয়নি। ফিরে গিয়েছে একেবারে সোজা বলে। ইংল্যান্ডের উচিত ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়ে দেখা যে, তাদের পক্ষে এই ধরনের পরিস্থিতিতে আর কী করা সম্ভব ছিল।’’ ইংল্যান্ডের আর এক প্রাক্তন তারকা কেভিন পিটারসেন এ দিন কটাক্ষের সামনে পড়লেন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘আশা করি টস জিতলেই ম্যাচ জেতা জেতা যাবে, এ রকম উইকেট এখানে হবে না!’’ তিনি বোঝাতে চান, ভারতের উইকেটে খেলা হলে তারাই এগিয়ে থাকে, যারা আগে ব্যাট করে। প্রথম দু’টি টেস্টে টস যারা জিতেছে তারাই সাফল্য পেয়েছে। মোতেরায় কিন্তু প্রথমে ব্যাট করা ইংল্যান্ডকেই চাপে ফেলে দেয় ভারত। যে কারণে পিটারসেন ক্রিকেটপ্রেমীদের সমালোচনার মুখে পড়েন।