সুনীল ছেত্রী। ছবি সংগৃহীত
ভাইচুং ভুটিয়ার পরে তিনিই প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে আজ, শুক্রবার জাতীয় দলের হয়ে খেলার ১৫ বছর পূর্ণ করছেন। তার আগে বেঙ্গালুরু থেকে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
লকডাউনের শিক্ষা: প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কী ভাবে শান্ত থাকতে হয় এই লকডাউন আমাকে শিখিয়েছে। জীবনকে কখনওই হাল্কা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। আমার দেশের মানুষ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, দেশের মানুষের জন্য যতটুকু করেছি তা যথেষ্ট নয়। আরও কিছু করা উচিত ছিল।
ভারতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা: অসাধারণ। গত ১৫ বছরে ভারতীয় দলে অনেক পরিবর্তন দেখেছি। সাধারণ মানুষ এখন অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন দেশের ফুটবল দলকে নিয়ে। ফুটবলারদের গুরুত্ব দিচ্ছেন। পরিকাঠামো থেকে সুযোগ-সুবিধা, অনেক উন্নত হয়েছে। প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তবে আমি কখনও ভাবিনি জাতীয় দলের হয়ে ১৫ বছর খেলব। অধিনায়কত্ব করব।
অনুশীলনে ফাঁকি নেই: লকডাউনে গৃহবন্দি থাকলেও চেষ্টা করেছি অনুশীলন করার। সপ্তাহখানেক ধরে বেল্লারি স্পোর্টস সেন্টারে অনুশীলন শুরু করেছি। সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে।
ফিট থাকাই চ্যালেঞ্জ: আগের মতো ফিটনেস নিয়ে ফেরাটাই এখন সকলের কাছে চ্যালেঞ্জ। এই সময় কী ধরনের অনুশীলন করতে হবে তা বেঙ্গালুরু এফসি এবং জাতীয় দলের তরফে ফুটবলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ফিটনেস কোচেরা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। যদিও মাঠে নেমে অনুশীলন বা জিমে ট্রেনিংয়ের কোনও বিকল্প নেই।
দীর্ঘ মেয়াদি প্রস্তুতি শিবির: অক্টোবরে যদি কাতারের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে হয়, তা হলে অগস্ট থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। আইএসএল যদি নভেম্বরে শুরু হয়, সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলন করা উচিত। তাতে অবশ্য আইএসএলের ক্লাবগুলো জাতীয় দলের ফুটবলারদের পাবে না প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতে। এই সমস্যা অবশ্য নতুন নয়। আগেও হয়েছে।
সমর্থকেরাই প্রেরণা: দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার পক্ষে আমি নই। এর জন্য অনেকেই আমাকে প্রাচীনপন্থী মনে করতে পারেন। আমরা ফুটবল খেলি সমর্থকদের জন্যই। ওঁদের ছাড়া খেলা খুব কঠিন। যদিও এই মুহূর্তে স্টেডিয়াম দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়াটা খুবই ঝুঁকির। আমার মনে হয়, টিভিতে ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচারও যথেষ্ট উত্তেজক হবে সমর্থকদের কাছে।
না বুঝে চুক্তিতে সই নয়: এই কঠিন সময়ে সর্বস্তরেই আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু ক্লাবগুলো টাকা না দিলে ফুটবলারেরা সেরাটা দেবে না। এই ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য বিশেষ করে জুনিয়রদের আমার পরামর্শ— না বুঝে কখনওই চুক্তিপত্রে সই করবে না। সইয়ের আগে প্রয়োজন হলে একশোবার চুক্তিপত্রে কী লেখা রয়েছে পড়বে। নিজে বুঝতে না পারলে যার উপরে আস্থা রয়েছে, তার সাহায্য নেবে।
আরও পড়ুন: আজ ফিরছেন রোনাল্ডো, কাল যাত্রা শুরু মেসির