লক্ষ্য: এটিকে-কে হারিয়ে শীর্ষে উঠতে মরিয়া সুনীল। ফাইল চিত্র
আইএসএলে গত মরসুমের চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি। অথচ এ বার শুরুতেই ধাক্কা। প্রথম তিনটি ম্যাচে জিততে পারেনি বেঙ্গালুরু। ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্য তার চেয়েও বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে। ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার গোল করতে পারছিলেন না। চতুর্থ ম্যাচেই গোল করে ভক্তদের স্বস্তি দেন সুনীল। তাঁর হাত ধরেই জয়ের সরণিতে প্রত্যাবর্তন ঘটায় বেঙ্গালুরু।
এই মুহূর্তে ৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষ স্থানে এফসি গোয়া। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বেঙ্গালুরু। তিন নম্বরে থাকা এটিকের পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ১৫। এখনও পর্যন্ত সুনীল গোল করেছেন পাঁচটি। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাঁকে আটকানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ এটিকের।
সুনীল নিজেও মরিয়া তাঁর উত্থানের শহর কলকাতায় গোল করতে। সোমবার বিকেলে কলকাতা রওনা হওয়ার আগে বেঙ্গালুরুতেই কোচ কার্লোস কুদ্রাসের সঙ্গে রণনীতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। সন্ধ্যায় কলকাতায় নেমে আনন্দবাজারকে সুনীল বললেন, ‘‘এই ম্যাচটা নিয়ে আমি প্রচণ্ড উত্তেজিত। জিতলেই লিগ টেবলের শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করার সুযোগ রয়েছে। আমাদের সেই যোগ্যতাও রয়েছে।’’
আগের ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে ২-০ হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। এটিকে অবশ্য কোনও মতে হার বাঁচিয়েছে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে। সতর্ক সুনীল বললেন, ‘‘এটিকে দারুণ শক্তিশালী দল। তার উপরে ওরা ঘরের মাঠে খেলবে।’’
সুনীলের মতে এ বারের আইএসএল অনেক বেশি কঠিন। বলছিলেন, ‘‘এই মরসুমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। ন’টি ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেও কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছে না চ্যাম্পিয়ন কে হবে। আমি একা এটা বলছি না। অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করলেও একই উত্তর পাবেন।’’
এই মুহূর্তে আইএসএলের খেতাবি দৌড়ে প্রথম সারিতে সুনীলেরা। অথচ শুরুতে ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। টানা তিনটি ম্যাচে ড্র করেছিল গত বারের চ্যাম্পিয়নেরা। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের রহস্যটা কী? ভারতীয় দলের অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘‘যদি পয়েন্ট দিয়ে বিচার করা হয়, সে ক্ষেত্রে শুরুটা আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী করতে পারিনি। অস্বীকার করার জায়গা নেই, এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।’’ কেন? সুনীলের বিশ্লেষণ, ‘‘নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে সম্মান জানিয়েই বলছি, আমরা প্রচুর গোল নষ্ট করেছিলাম ওদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে পয়েন্ট নষ্ট করেছি। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচেও অনেক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিলাম। তবে পুরো পয়েন্ট না পেলেও ওই তিনটি ম্যাচে খারাপ খেলেছি বলে মনে করি না। আমাদের পাখির চোখ এখন বাকি ন’টি ম্যাচই জেতা।’’