আশাবাদী: বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা শুরু ইগর স্তিমাচের।
আট বছর পর কলকাতায় খেলবে সুনীল ছেত্রীদের ভারত।ভারতে আসার পর শহরে প্রথম পা রাখবেন জাতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচ। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ভারত খেলবে পড়শি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে।
১৫ অক্টোবর গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে সমর্থকরা মাঠ ভর্তি করে আসুন, এই আশায় রয়েছেন ইগর। গুয়াহাটিতে বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে সুনীল-উদান্তা সিংহদের প্রস্তুতি। শিবিরে ডাক পাওয়া ২৯ জন ফুটবলারই এসেছেন। লক্ষ্মীপুজোর দিন কলকাতায় আসবে ভারতীয় দল। দু’দিন অনুশীলন করার পর নামবে খেলতে। কিন্তু শহরে পা দেওয়ার অনেক আগেই যুবভারতীর ফুটবল উন্মাদনা দেখার জন্য উদগ্রীব সুনীলদের কোচ। ‘‘সবাই আশা করছে অন্য এক ভারতকে দেখা যাবে কলকাতায়। শুনেছি আট বছর পর ওখানে ভারতীয় দল খেলবে ওখানে। কলকাতা ফুটবলের শহর বলে শুনেছি। সবাই আশা করছে আমরা প্রাক বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ জেতার স্বাদ ওখানেই পাব। আশা করব দেশের খেলা দেখতে যুবভারতী ভর্তি হয়ে যাবে,’’ বলে দিয়েছেন ইগর। পরের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করার পর ভারতীয় দল নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ইগর এ দিন বলে দিয়েছেন, ‘‘গুয়াহাটিতে ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রচুর সমর্থক এসেছিলেন খেলা দেখতে। আশা করব কলকাতা সেই উন্মাদনাকে ছাপিয়ে যাবে।’’ ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ক্লাব নর্থ ইস্টের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন শুভাশিস বসু, প্রীতম কোটালরা। ইগরের আশা জায়গা পাওয়ার জন্য এ ম্যাচে সবাই নিজেকে উজাড় করে দেবে। ‘‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ফুটবলারদের কাছে এটা ভাল মঞ্চ সবাই ভাল খেলে দলে ঢুকতে চাইবে,’’ বলেছেন স্তিমাচ।
কাতারের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসাবে দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন গুরুপ্রীত সিংহ সাঁধু। বলছিলেন, ‘‘গোলকিপার জীবনের শুরুতে আমি কলকাতায় খেলেছি। কিন্তু দেশের জার্সিতে ওখানে খেলার আনন্দই আলাদা। আশা করছি প্রথম জয়ের স্বাদ পাব ওখানেই।’’ ওমান এবং কাতার গ্রুপ লিগের প্রথম দুটি ম্যাচে ভাল খেলেও জিততে পারেননি সুনীলরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাই জিততে মরিয়া প্রীতম কোটালরা। ক্লাবের জার্সিতে খেললেও দেশের জার্সিতে সল্টলেকে খেলা হয়নি তাঁর বলছিলেন, ‘‘এটা ফুটবলার জীবনে আমার একটা স্বপ্ন ছিল। সেটা পূরণ হতে চলেছে।’’