প্রতিবাদী: ফের নতুন নাম লেখা মুখাবরণে কোর্টে নেয়োমি। রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে দ্বিতীয় রাউন্ডেই থেমে গেল সুমিত নাগালের অভিযান। দ্বিতীয় বাছাই অস্ট্রিয়ার দমিনিক থিমের বিরুদ্ধে অবশ্য হারলেও লড়াই করলেন ভারতীয় তারকা। ফল ৩-৬, ৩-৬, ২-৬। প্রথম ও দ্বিতীয় সেটে রীতিমতো পাল্লা দিয়ে গিয়েছেন তিনি থিমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সাত বছর পরে প্রথম ভারতীয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের প্রথম রাউন্ডে জিতেছিলেন তিনি।
পুরুষদের সিঙ্গলসে অপ্রতিরোধ্য নোভাক জোকোভিচ। ২০২০-তে কোনও ম্যাচে তিনি হারেননি। বুধবার প্রথম সেট খুইয়েও যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে জিতলেন ব্রিটেনের কাইল এডমুন্ডের বিরুদ্ধে। ফল ৬-৭(৫-৭), ৬-৩, ৬-৪, ৬-২। এ’বছর এটা তাঁর টানা ২৫তম জয়! টেনিস বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সার্বিয়ান তারকার ফ্লাশিং মেডোজে এ বার ১৮ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম না পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সে ক্ষেত্রে রজার ফেডেরার (২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম) ও রাফায়েল নাদালকে (১৯টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম) প্রায় ধরে
ফেলবেন তিনি।
এডমুন্ডকে হারিয়ে উঠে নোভাক কিন্তু তাঁর প্রবল দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কথাই বললেন। তবে সেটা তাঁর তৈরি করা খেলোয়াড়দের নতুন সংস্থা (প্রফেশনাল টেনিস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন) প্রসঙ্গে। যে সংস্থার সূচনাকে ভাল ভাবে নেননি ফেডেরার, নাদাল। দু’জনই মনে করছেন, টেনিসে এখন প্রয়োজন একতার। তাঁদের ধারণা, নোভাকের উদ্যোগের এটা উপযুক্ত সময় নয় এবং এই ইউনিয়ন আগামী দিনে খেলোয়াড়দের মধ্যে বিভেদ
সৃষ্টি করতে পারে।
নোভাক অবশ্য নাদালদের যুক্তি মানছেন না। বলেছেন, ‘‘ওদের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি। ওরা মনে করছে, এটা সেরা সময় নয়। ওরা তাই আমাদের উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদের জড়াচ্ছে না।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ওদের মতামত নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে ওদের সঙ্গে আমি কিন্তু একমত নই।’’ কেন একমত নন তাও ব্যাখ্যা করেছেন জোকোভিচ। তাঁর কথা, ‘‘প্লেয়ারদের নিজস্ব সংস্থা করার চেষ্টা তো আমাদের আগের প্রজন্মই করেছিল। আমরা সেই কাজটাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আর খেলোয়াড়দের ইউনয়ন এখনই করা দরকার। শেষ ২০ বছরে এই
কাজটাই করা যায়নি।’’
মেয়েদের সিঙ্গলসে নেয়োমি ওসাকা খেললেন বিধ্বংসী মেজাজে। মাত্র ১ ঘণ্টা ৯ মিনিট লাগল বিশ্বের ৭৪ নম্বর ইটালীয় ক্যামিলা জিয়োর্জিকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে উঠতে। ওসাকা জিতলেন ৬-১, ৬-২ সেটে। এ দিনও নতুন মুখাবরণ পরে কোর্টে নামলেন ওসাকা। এ বার দেখা গেল মুখাবরণে লেখা এলিজা ম্যাকক্লেনের নাম। ২৩ বছর বয়সি কৃষ্ণাঙ্গ এলিজার গত বছর পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ-হত্যার বিরুদ্ধে এ ভাবেই এ বার ফ্লাশিং মেডোজে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ওসাকা।