প্রত্যয়ী: সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চান সুদীপ। ফাইল চিত্র
মরসুম শুরু হওয়ার সময় তিনি ছিলেন বাংলার সহ-অধিনায়ক। কিন্তু গত বছর থেকেই রাজ্য দলের হয়ে রানের খরা চলছিল তাঁর। এ বারের বিজয় হজারে ট্রফিতেও প্রথম চারটি ম্যাচের পরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রঞ্জি ট্রফিতেও কেরল ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হওয়ার পরে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার জন্য ওড়িশা উড়ে যাওয়ার আগের দিন দলে ফেরানো হল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে।
সুদীপকে দল থেকে বাদ দেওয়া হলেও কোচ অরুণ লাল বলেছিলেন, ‘‘স্থানীয় ক্রিকেটে পারফর্ম করলেই ফেরানো হবে সুদীপকে।’’ কোচ কথা রেখেছেন। সিএবি-র প্রথম ডিভিশন গ্রুপ ‘এ’-র লিগে পাঁচ ম্যাচ খেলে দু’টি সেঞ্চুরি, একটি ৯৮ ও একটি হাফসেঞ্চুরি করে সমালোচকদের জবাব দেন সুদীপ। রবিবার শেষ আটের জন্য যে ১৬ জনের দল ঘোষণা করা হয়, তার অন্যতম সদস্য হিসেবে নিজের স্থান ফিরে পান তিনি।
দল থেকে বাদ পড়ার পরে ভেঙে পড়েছিলেন। প্রত্যাবর্তনের তাগিদই তাঁকে স্থানীয় ক্রিকেটে রান পেতে সাহায্য করেছে। আনন্দবাজারকে সুদীপ বলছিলেন, ‘‘ক্রিকেটে ভাল সময় আসে, খারাপ সময়ও আসে। আমার খারাপ সময় চলছিল। যাই চেষ্টা করছিলাম, ব্যর্থতা সঙ্গ ছাড়ছিল না। কিন্তু বাংলা দলে নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার তাগিদ কখনও কমেনি। সেই লক্ষ্যেই স্থানীয় ক্রিকেট ম্যাচে রান পাওয়ার মরিয়া লড়াই করেছি। রান করে গিয়েছি প্রত্যেকটি ম্যাচে।’’
সুদীপকে কেন নেওয়া হল তার ব্যাখ্যাও করলেন কোচ। অরুণ বলছিলেন, ‘‘শেষ ম্যাচে আমাদের টপ অর্ডার ব্যর্থ। কোয়ার্টার ফাইনালে এই পারফরম্যান্স সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই তরুণ ক্রিকেটার নেওয়ার ঝুঁকি নিইনি। সুদীপ অভিজ্ঞ। বড় ম্যাচে রান করেছে। বাংলাকে প্রচুর ভাল সময় উপহার দিয়েছে। স্থানীয় ক্রিকেটে রান করে ওর আত্মবিশ্বাসও ফিরেছে। এটাই সঠিক মুহূর্ত ওকে দলে ফেরানোর।’’
বাংলার পেস বিভাগেও শক্তি ফিরেছে। নিউজ়িল্যান্ড সফর শেষ করে কলকাতা ফিরেছেন ঈশান পোড়েল। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর। তিনিও বাংলা দলের সঙ্গে আজ বিকেলে উড়ে যাচ্ছেন ওড়িশা। আকাশ দীপকেও রাখা হয়েছে ১৬ জনের দলে। কিন্তু তিনি ম্যাচ ফিট হবেন কি না তা নিয়ে সংশয়। তরুণ পেসার গোলাম মুস্তাফাকেও তাই নেওয়া হয়েছে দলে। একান্তই প্রয়োজন হলে তাঁকে দলে নেওয়া হতে পারে।