প্রস্তাব: ঘাম ব্যবহারে কোনও আপত্তি নেই কুম্বলেদের। ফাইল চিত্র
থুতু দিয়ে বল পালিশ পদ্ধতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিল আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটি। কিন্তু পালিশের ক্ষেত্রে ঘামের ব্যবহারে এখনও কোনও নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। একই দিনে পরামর্শ দেওয়া হয়, আন্তর্জাতিক ম্যাচে দু’জন করে স্থানীয় আম্পায়ার রাখার। প্রস্তাব দিয়েছে অনিল কুম্বলে নেতৃত্বাধীন এই ক্রিকেট কমিটি। এমনকি ইনিংস-প্রতি দু’টির পরিবর্তে তিনটি করে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেওয়ার নিয়ম চালু করার পরামর্শও দেওয়া হয় টেলি-বৈঠকের মাধ্যমে।
বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতু ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে আগেই বিতর্ক শোনা গিয়েছিল ক্রিকেটমহলে। আনন্দবাজারে এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ শামি এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। গত মাসে এ বিষয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করে আইসিসি-ও। কিন্তু মাইকেল হোল্ডিং থেকে ওয়াকার ইউনিস তা সমর্থন করেননি। বল পালিশ না করলে, পেসাররা সুইং পাবেন না। কমে যাবে ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাই হোল্ডিংরা চাননি, পালিশের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। ক্রিকেট কমিটি যদিও ঘামের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।
কুম্বলের বিবৃতি, ‘‘আমরা লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছি। তাই ক্রিকেট চলার পাশাপাশি কী ভাবে সচেতনতা বজায় রাখা যায়, সে বিষয়ে কিছু প্রস্তাব দিচ্ছে আইসসি-র ক্রিকেট কমিটি।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘আইসিসি-র মেডিক্যাল অ্যাডভাইসরি কমিটির প্রধান ডা. পিটার হারবার্টের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি, থুতুর ব্যবহারে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুব বেশি। তাই আইসিসি কমিটির প্রস্তাব, বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। কিন্তু ঘামের ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কারণ, ঘাম থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’’ এটাই দেখার, আইসিসি এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: সচিনকে সে দিন ৯৮ রানে আউট করে দুঃখ পেয়েছিলাম, দাবি শোয়েব আখতারের
স্থানীয় আম্পায়ারের পরিচালনায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ করার পরামর্শও দেওয়া হয় এ দিন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সংক্রমণের আতঙ্ক এতটাই ছড়িয়েছে যে, যাত্রাপথে সমস্যা দেখা গিয়েছে। বেশ কিছু দেশের সীমান্ত বন্ধ। আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবাও হয়তো ঠিক মতো পাওয়া যাবে না। তার উপরে যে কোনও দেশে যাওয়ার পরেই ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হচ্ছে। তাই এই আতঙ্কের মধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হোক স্থানীয় আম্পায়ারদের।’’
ডিআরএস-এর সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে ক্রিকেট কমিটি। আগে ইনিংস-প্রতি ডিআরএস নেওয়া যেত দু’টি। এ বার থেকে তিনটি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রস্তাবকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা মান্যতা দেয় কি না দেখার।
আরও পড়ুন: রবি শাস্ত্রী নয়, প্রাক্তন অজি তারকাকে সেরা কোচ বললেন ইশান্ত শর্মা