ফাইল চিত্র।
জয়পুরের সোয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামের সেই জয়ধ্বনী। ইডেনে সমর্থকদের গর্জন। চেন্নাইয়ে হলুদ স্রোতের তোলপাড় আর এ বার হয়তো দেখা যাবে না। এক দিকে ক্রিকেট ফেরায় খুশি স্টিভ স্মিথ। অন্য দিকে ভারতে আইপিএল
হবে না বলে হতাশও।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও আইপিএল সেখানে খেলেননি স্মিথ। মরুশহরের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে তিনি প্রস্তুত। রাজস্থান রয়্যালসের তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার উপলক্ষে স্টিভ স্মিথ বলেছেন, ‘‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে প্রত্যেক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কোচিং স্টাফ সব চেয়ে আগে এই নির্দেশই দেবে। দুবাইয়ের পরিবেশের সঙ্গে ভারতের অনেক মিল থাকতে পারে। আবার পার্থক্যও থাকতে পারে। আমাদের কাজ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।’’ যোগ করেন, ‘‘২০১৪ আইপিএলের সময় অনেকেই হয়তো সে দেশে খেলেছে। দুবাইয়ে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা অনেকেরই থাকতে পারে। বেশির ভাগের যদিও নেই।’’
তার পরেই নিজের হতাশার কথা উল্লেখ করেন রয়্যালস অধিনায়ক। বলেন, ‘‘ভারতে আইপিএল হচ্ছে না। এটা ভেবেই আমি হতাশ। ভারতে খেলতে আমরা সবাই পছন্দ করি।’’ তাঁর প্রশ্ন, ভারতের মতো এত উত্তেজক পরিবেশ পাবেন কোথায়? যেখানে একজন অস্ট্রেলীয়র জন্যও গলা ফাটাতে দ্বিধা বোধ করেন না কেউ। তাই ভারতে খেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন সারা বছর।
স্মিথ নিশ্চিত, আইপিএল খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন প্রত্যেকে। কিন্তু করোনা আতঙ্কের জন্য প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ ক্রিকেট। সবাইকে কি আগের ছন্দে পাওয়া যাবে? স্মিথের উত্তর, ‘‘সবাই একই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। কেউ এগিয়ে নেই, কেউ পিছিয়ে নেই। যে ক’দিন সময় পাওয়া যাবে, তার মধ্যেই যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেব। কেউই খেলার মধ্যে নেই। সবার কাছেই এই প্রতিযোগিতা এ বার অন্য চ্যালেঞ্জ। আমি নিশ্চিত, প্রত্যেক ক্রিকেটার মুখিয়ে রয়েছে আইপিএলের জন্য।’’
তাঁর দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যেরা যথেষ্ট ম্যাচ প্র্যাক্টিস পাচ্ছেন। বেন স্টোকস, জস বাটলার, জোফ্রা আর্চারেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জেতার পরে পাক সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা দলে থাকায় কতটা উপকৃত হবেন স্মিথ? বলে দিলেন, ‘‘স্টোকসের মতো ক্রিকেটার চায় প্রত্যেক অধিনায়ক। কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে জেতানোর ক্ষমতা ওর মধ্যে রয়েছে। বাটলার, আর্চারও আমাদের সম্পদ। ওরা ম্যাচের মধ্যে থাকায় অনেকটা সুবিধা হবে।’’