লন্ডনের রেস্তরাঁয় স্তেফানোস চিচিপাসের (বাঁ দিকে) সঙ্গে পাওলা বাদোসা। ছবি: টুইটার
উইম্বলডনের শেষ ষোলোতেই হারতে হয়েছে গ্রিসের স্টোফানোস চিচিপাসকে। অবাছাই আমেরিকার ক্রিস্টোফাস উইব্যাঙ্কসের কাছে হারতে হয়েছে বিশ্বের পাঁচ নম্বর টেনিস তারকাকে। পাঁচ সেটের লড়াইয়ে চিচিপাস হারেন ৬-৩, ৬-৭ (৪-৭), ৬-৩, ৪-৬, ৪-৬ গেমে। কিন্তু কেন হারলেন চিচিপাস? বিপক্ষ ভাল খেলায়? নাকি মন দিয়ে প্রতিযোগিতায় খেলেননি চিচিপাস? তাঁর মন পড়ে ছিল বান্ধবী পাওলা বাদোসাকে নিয়ে লন্ডন ভ্রমণে!
উইম্বলডন খেলতে পা দেওয়ার পর থেকেই চর্চায় এই দুই টেনিস তারকা। গত কয়েক মাস থেকে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। একসঙ্গে অনুশীলন করছেন। একে অপরের খেলার সময় দর্শকাসনে থাকছেন। তার সঙ্গে ঘুরেও বেড়াচ্ছেন। আর সেই বেড়ানোর বহর বেড়েছে বাদোসা নাম তুলে নেওয়ার পর থেকে। চোটের কারণে সিঙ্গলস ও ডাবলস থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন বাদোসা। ফলে চিচিপাসের সঙ্গে মিক্সড ডাবলসেও নামতে পারেননি তিনি।
গত কয়েক দিনে লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে চিচিপাস ও বাদোসাকে। বিখ্যাত সল্ট বে-র রেস্তরাঁয় নৈশভোজ সেরেছেন তাঁরা। টেমস নদীর ধারে সময় কাটিয়েছেন। সেখানে পড়ন্ত বিকালে একে অপরকে চুমু খেয়েছেন। সেই সব ছবি জ্বলজ্বল করছে তারকা জুটির সমাজমাধ্যমের পাতায়।
তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি খেলার থেকে বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি আগ্রহী চিচিপাস? নইলে উইম্বলডনের মতো প্রতিযোগিতা চলাকালীন অনুশীলন না করে কেউ ঘুরে বেড়ান। রাফায়েল নাদাল খেলছেন না। ঘাসের কোর্টে কার্লোস আলকারাজের রেকর্ড সাঙ্ঘাতিক কিছু নয়। সে ক্ষেত্রে চিচিপাসের কাছে সুযোগ ছিল ফাইনালে ওঠার। কিন্তু তার জন্য একাগ্রচিত্তে অনুশীলন প্রয়োজন। খেলায় মন বসানো দরকার। তা না করে অনেকটা সময় ঘুরে কাটিয়েছেন চিচিপাস। তার প্রভাব কি তাঁর খেলায় পড়েছে? সেই কারণেই কি শেষ ষোলো থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছে তাঁকে?
চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পরেই চিচিপাস ও বাদোসার প্রেম শুরু। সেখানে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বাদোসা বলেছিলেন, ‘‘আমি চোটে থাকায় চিচিপাসের খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। পরে রাতে ওর স্বপ্ন দেখি। সেখানে আমি দেখি, আমরা দু’জনেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছি। সাধারণত কোনও টেনিস খেলোয়াড়ের স্বপ্ন আমি দেখি না। কিন্তু ওকে স্বপ্নে দেখেছিলাম।’’ এই সাক্ষাৎকারের পরেই জুটিকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তার পরে সমাজমাধ্যমে নিজেরাই সেই চর্চাকে আরও উস্কে দেন চিচিপাস ও বাদোসা।