Sreesanth

‘এখনও বিশ্বাস করি ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ খেলতে পারব’

২০১১ সালের অগস্টে শেষ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল শ্রীসন্থকে। কেরিয়ারে ২৭ টেস্ট, ৫৩ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২০ ১৩:৫১
Share:

ফের জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে শ্রীসন্থকে? ছবি: এপি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হচ্ছে নির্বাসনের মেয়াদ। কেরলের হয়ে খেলার সম্ভাবনাও বাড়ছে আসন্ন মরসুমে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখছেন শ্রীসন্থ

Advertisement

২০১৩ সালের অগস্টে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড চিরনির্বাসিত করেছিল ডানহাতি এই পেসারকে। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। যে কেলেঙ্কারি তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল ক্রিকেটমহলে। তবে ২০১৫ সালে দিল্লির এক বিশেষ আদালত সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় তাঁকে। তবে আইনি লড়াই চলছিলই। ২০১৮ সালে কেরল হাইকোর্ট বোর্ডের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিলেও হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চ নির্বাসনের রায় বহাল রাখে। শ্রীসন্থ তখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত বছর মার্চে তাঁর সাজার পরিমাণ কমাতে বোর্ডকে নির্দেশ দেয় আদালত। বিসিসিআই তখন সাত বছরের জন্য নির্বাসিত করে তাঁকে। যা শেষ হতে চলেছে চলতি সেপ্টেম্বরে।

আরও পড়ুন: দ্রাবিড়কে ছাড়া একটি টেস্টও খেলেননি, সৌরভের সেঞ্চুরি করা টেস্টে কোনও দিন হারেনি ভারত!

Advertisement

সম্প্রতি কেরলের কোচ টিনু যোহানন বলেছেন যে, ফিটনেসের সমস্যা না হলে শ্রীসন্থকে দলে নেওয়ার কথা ভাবা হবে। অনুপ্রাণিত পেসার তাই বলেছেন, “এখনও বিশ্বাস করি যে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ খেলার ক্ষমতা রয়েছে। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। নিজের লক্ষ্য নিয়ে আমি কখনই বাস্তববাদী নই। কিন্তু অধিকাংশ অ্যাথলিট এমনই। যদি আমাদের এমন অসম্ভব কোনও লক্ষ্য না থাকে, তবে আমরা সাধারণে পরিণত হব।”

নিজের প্রস্তুতি নিয়ে শ্রীসন্থ বলেছেন, “হতাশা কাটিয়ে উঠতে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। এমনকি এমএমএ (মিক্সড মার্শাল আর্টস) পর্যন্ত করেছি। নিজের রাগ-হতাশা কোথাও বের করতে হত আমাকে। আমি কাউকে মারিনি, তবে তার কাছাকাছি কাজই করেছি। পাঞ্চিং ব্যাগ বা মাদুরে হিট করেছি।”

আরও পড়ুন: সচিনের শেষ টেস্টে আবেগে প্রায় কেঁদে ফেলেছিলেন দুই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার​

আত্মহত্যার কথা একসময় মাথায় এসেছিল শ্রীসন্থের। সেই সম্পর্কে বলেছেন, “২০১৩ সাল থেকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করে চলছি। কিন্তু আমার পরিবার পাশে থেকেছে। পরিবারের জন্যই লড়ে যেতে হত আমাকে। জানতাম যে আমাকে দরকার পরিবারের। সেই জন্য সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু এত কষ্ট দিয়েছে। তা ছাড়া ও ভাল বন্ধুও ছিল। আমিও কিনারা দিয়ে চলছিলাম। কিন্তু, আত্মহত্যা করতে পারিনি। কারণ, এটা জানতাম যে আমার উপর অনেকের বিশ্বাস ও ভালবাসা রয়েছে। তাঁদের আঘাত দিতে চাইনি।”

২০১১ সালের অগস্টে শেষ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল শ্রীসন্থকে। কেরিয়ারে ২৭ টেস্ট, ৫৩ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement