বিশ্ব কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ।—ছবি টুইটার।
জাতীয় সংস্থাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ক্রীড়া মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিনা অনুমতিতে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া ভারতীয় ‘সার্কল’ কবাডি দল দেশে ফিরলেই সমস্যায় পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার কথা ভাবছে। মন্ত্রকের এক কর্তার মন্তব্য, ‘‘ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু তদন্ত শুরুর জন্য তৈরি হয়ে আছেন। দল ফিরলেই তা শুরু হবে।’’
‘স্ট্যান্ডার্ড’ কবাডির সঙ্গে ‘সার্কল’ কবাডির সামান্য পার্থক্য আছে। ‘স্ট্যান্ডার্ড’ কবাডি এশিয়ান গেমসের খেলা। ৮০ কেজির কম ওজনের সাত জন খেলে। বৃত্তাকার মাঠে ‘সার্কল’ কবাডিতে আট জন খেলে। ওজনের বিধিনিষেধ নেই।
জাতীয় কবাডি সংস্থার বিরুদ্ধে পাকিস্তানগামী দল নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে দুই ব্যক্তি দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন। আইওএ জানিয়েছে, তারা বিদেশ সফরের অনুমতি দেয়নি। ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় দল লাহৌরে পৌঁছয় শনিবার। সেখানে তাদের রীতিমতো সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক কবাডি সংস্থার প্রেসিডেন্ট জনার্দন সিংহ গহলৌত বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের তথাকথিত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ স্বীকৃত টুর্নামেন্ট নয়।’’ জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের কবাডি সংস্থা নিজেদের দায়িত্বে ঝুঁকি নিয়ে দল পাঠিয়েছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, ভারত থেকে যাঁরা গিয়েছেন তাঁদের অনেকে নাকি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডার হয়েও খেলবেন।
অদ্ভুত এই পরিস্থিতির সামনে বেশ অস্বস্তিতে গহলৌত। তাঁর মন্তব্য, ‘‘নিছক একটা সাধারণ টুর্নামেন্ট করার জন্য পাকিস্তানের ফেডারেশন অনুমতি চেয়েছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি অনুমতি দিই। এর মধ্যে ভুল নেই। যদি সংস্থার কোনও সদস্য দেশ টুর্নামেন্ট করতে চায়, তা হলে আপত্তির কী আছে? কিন্তু কী করে বুঝব বিষয়টি নিয়ে এই ধরনের ঝামেলা হবে!’’