লড়াকু: ঘরোয়া ক্রিকেটে একচ্ছত্র দাপট ছিল রাজিন্দরের। টুইটার
অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। দীর্ঘ রোগভোগের পরে রবিবার প্রয়াত হলেন ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি স্পিনার রাজিন্দর গোয়েল। বয়স হয়েছিল ৭৭। রেখে গেলেন স্ত্রী ও পুত্র নীতিন গোয়েলকে। প্রয়াত ক্রিকেটারের পুত্রও ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৫৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ৮টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেছেন রাজিন্দর। যার সূচনা ১৯৫৭-৫৮ মরসুমে। ২৭ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট জীবন তাঁর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৫০টি উইকেট পাওয়ার বিরল নজিরও রয়েছে এই বাঁ হাতি স্পিনারের নামে। রঞ্জি ট্রফিতেও রাজিন্দর গোয়েলের সংগ্রহ ৬৩৭টি উইকেট। যা আজ পর্যন্ত রেকর্ড এই প্রতিযোগিতায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ভারতের হয়ে কোনও দিন খেলা হয়নি সত্তর দশকে সাড়া জাগানো এই ক্রিকেটারের। ভারতের বিখ্যাত স্পিন ত্রয়ী বেদি-প্রসন্ন-চন্দ্রশেখরদের আড়ালেই থেকে যেতে হয়েছে তাঁকে।
১৯৭৪-৭৫ সালে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বে ভারত সফরে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। সেই সফরে বিষাণ সিংহ বেদি বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে দলে ছিলেন না। গোয়েল দলে ঢুকলেও প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর।
আরও পড়ুন: ইডেনে সচিনের রুদ্ররূপ ভোলেননি ইরফান
এ দিন তাঁর প্রয়াণের খবর পাওয়ার পরেই শোকের ছায়া নেমে আসে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে টুইট করে শোকজ্ঞাপন করা হয়। বিষাণ সিংহ বেদি তাঁর শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘‘একজন দুর্দান্ত মানুষ চলে গেল। শান্তিতে থাক গোয়েলি। রঞ্জি ট্রফিকে তুমি উজ্জ্বল করে রেখেছিলে হৃদয় দিয়ে বল করে।’’ শোকপ্রকাশ করেছেন শিখর ধওয়ন, হরভজন সিংহেরাও।
আরও পড়ুন: সচিনকে ভুল আউট দেন, মানছেন বাকনর
১৯৪২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হরিয়ানায় জন্ম রাজিন্দর গোয়েলের। প্রথম নজর কাড়েন ১৬ বছর বয়সে। সর্বভারতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সেরা বোলার হয়ে। তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যেই উত্তরাঞ্চল সে বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পরবর্তীকালে ঘরোয়া ক্রিকেটে পাটিয়ালা, দক্ষিণ পঞ্জাব, দিল্লি ও হরিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা রাজিন্দর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন ৪৪ বছর বয়স পর্যন্ত। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর সারা জীবনের অবদানের জন্য ২০১৭ সালে বোর্ড তাঁকে সি কে নাইডু ট্রফি দিয়ে সম্মান জানায়। যে সম্মান তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক ও তাঁর বন্ধু বিষাণ সিংহ বেদি।