ফাইল চিত্র।
দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিল বুয়েনোস আইরেসের এক মেডিক্যাল প্যানেল। ৭০ পাতার রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হল, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে বাড়ি ফিরে তিনি পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা পাননি এবং সেটাই তাঁর করুণ পরিণতির জন্য দায়ী। শেষের ক’দিন ফুটবল কিংবদন্তিকে নাকি চূড়ান্ত যন্ত্রণার মধ্যেও কাটাতে হয়েছে।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর মারাদোনার মৃত্যু হয় হৃদরোগে। তাঁকে তাঁর শয্যায় মৃত অবস্থাতে পাওয়া যায়। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছিল ঘটনার ১২ ঘণ্টা পরে। বিচার বিভাগের নির্দেশেই মারাদোনার মৃত্যুতে চিকিৎসা বিভ্রাট বা গাফিলতি ছিল কি না, জানতে ২০ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল তদন্ত করেছে। তাঁরাই রিপোর্টে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। প্রসঙ্গত গোটা ঘটনায় মারাদোনার নিজস্ব স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লিয়োপোল্দো লুকে, মনোবিদ কার্লোস দিয়াস ও দু’জন নার্সের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের ১৫ বছরের কারাবাসও হতে পারে।
নিজের ৬০তম জন্মদিনের ঠিক চার দিন পরেই মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য মারাদোনাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল গত বছরের ৩ নভেম্বর। সে সময় তাঁর স্বাস্থ্য খুবই ভেঙে পড়েছিল। ঠিকমতো কথাও বলতে পারছিলেন না। এ সবের জন্য অবশ্য তাঁর দীর্ঘ মাদকাসক্তিও (অ্যালকোহল ও কোকেন সেবন) দায়ী বলে মনে করেছেন চিকিৎসকেরা। যে কারণে তাঁর যকৃৎ, বৃক্ক ও হৃদযন্ত্রেও নানা সমস্যা ছিল। প্রসঙ্গত মারাদোনার দুই কন্যা তাঁদের বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন, চিকিৎসক লুকে-কে। ওই মেডিক্যাল প্যানেলও মনে করছে, পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যে থাকলে এই মৃত্যু হয়তো এড়ানো যেত। মারাদোনার শেষের দিনগুলি কেটেছে বুয়েনোস আইরেসের এক অভিজাত পাড়ার ভাড়া করা বাড়িতে। তদন্ত কমিটির বক্তব্য, সে সময় তাঁকে কোনও ভাল হাসপাতালেই রাখা উচিত ছিল। কিংবদন্তি তারকার হাতে এ’ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেওয়াটা মারাত্মক ভুল হয়েছিল।