জল্পনা বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে হঠাৎই সৌরভ

ইফতার উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে সোমবার সাদা-কালোর সর্বোচ্চ সম্মান ‘শান-ই-মহমেডান’ পুরস্কার নিতে আসেন ফুটবলার-সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রসূন নয়, আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বেশ কয়েকবছর ধরে মহমেডানের পক্ষ থেকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে ক্লাবকে সাফল্য এনে দেওয়া প্রাক্তন ফুটবলারদের। প্রতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে তুলে দেন এই সম্মান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৩:৪৮
Share:

মহামেডান ক্লাবের ইফতারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রয়েছেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট সুলতান আহমেদও। সোমবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন ক্লাবে। ছবি: উৎপল সরকার

ইফতার উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে সোমবার সাদা-কালোর সর্বোচ্চ সম্মান ‘শান-ই-মহমেডান’ পুরস্কার নিতে আসেন ফুটবলার-সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রসূন নয়, আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

বেশ কয়েকবছর ধরে মহমেডানের পক্ষ থেকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে ক্লাবকে সাফল্য এনে দেওয়া প্রাক্তন ফুটবলারদের। প্রতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে তুলে দেন এই সম্মান। এ বারও দিলেন প্রসূনকে। ’৮১-তে শেষ বার মহমেডানকে কলকাতা লিগ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। কিন্তু যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অনেকটা দূরে দেখা গেল প্রসূনকে, সেখানে মমতার পাশে বসে সৌরভ। এ বারই মহমেডানের অনুষ্ঠানে তাঁর প্রথম আসা। আর সে জন্যই ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল, সিএবি-র আসন্ন নির্বাচনে মমতার সমর্থনের কথা ভেবেই তাঁর এই আসা? সৌরভ অবশ্য এসব নিয়ে একটা কথাও বললেন না। মঞ্চে সিএবি-তে সৌরভ-বিরোধী গোষ্ঠীর এক পরিচিত নেতাকেও দেখা গেল। তবে মহমেডান কর্তাদের সঙ্গে।

সৌরভ কিছু না বললেও পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত সাংসদ প্রসূন পরিচিত ভাষায় তোপ দাগলেন এ আইএফএফ-কে। বললেন, ‘‘লোকসভার জিরো আওয়ারে ফের প্রফুল্ল পটেলকে ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানোর দাবি তুলব। মহমেডান-সহ নামী ক্লাবগুলোকে ও-ই শেষ করে দিচ্ছে।’’ আর মহমেডান প্রেসিডেন্ট সুলতান আহমেদের ঘোষণা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় আমাদের মাঠে ফ্লাড লাইট বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement