রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে উল্লাস স্পেনের ফুটবলারদের
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেল স্পেন। ম্যাচে কখনো এগিয়েছিল স্পেন আবার কখনো এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে দুই গোল করে খেলায় সমতা ফেরালেও অতিরিক্ত সময়ে আরও দুই গোল খেয়ে ইউরো অভিযান শেষ করতে হল ক্রোয়েশিয়াকে।
২০ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে গিয়েছিলেন লুকা মদ্রিচরা। ২০ মিনিটেই পেদ্রির আপাত নিরীহ পাস গোলরক্ষকের ভুলে গোলে ঢুকে যায়। সবচেয়ে কম বয়সি ফুটবলার হিসেবে ইউরো কাপ-এর নক আউটে খেলতে নেমেছিলেন পেদ্রি। ৩৮ মিনিটেই সমতা ফেরায় স্পেন। মিডফিল্ডার পাবলো সারাবিয়ার গোলে। গোলরক্ষক লিভাকোভিচ গায়ার শট সেভ করলে ফিরতি বল গোলে পাঠিয়ে দেন সারাবিয়া। প্রথমার্ধ শেষ হয় অমীমাংসিত অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। বাঁদিক থেকে উঠে এসে ক্রস করেন ফেরান টোরেস। কার্যত বিনা বাধায় হেডে গোল করে যান আসফালাকোয়েটা। ব্যবধান আরও বাড়ান টোরেস। ৭৭ মিনিটে কিছুটা অবিন্যস্ত থাকা ক্রোয়েশিয়া ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে ডান দিক থেকে বল পেয়ে উঠে এসে জোরাল শটে গোল করেন তিনি।
গোল পেলেন আলভারো মোরাতাও
সবাই যখন ভেবে নিয়েছেন খেলা শেষ, তখনই জ্বলে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। ৮৫ মিনিটে ওরসিচের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে তারা। মদ্রিচের পাস থেকে জটলার মধ্যে শট করেন তিনি। বল গোললাইন অতিক্রম করে যায়। রেফারি গোলের নির্দেশ দেন। ৯০ মিনিটের শেষে ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন চতুর্থ রেফারি। ৯২ মিনিটে ফের গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনে ক্রোয়েশিয়া। ওরসিচের ক্রস থেকে গোল করেন মারিও প্যাসালিক।
তবে অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়াতেই নিজেদের জাত চিনিয়ে দেয় স্পেন। আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে যায় তারা। ডানি ওলমোর ক্রস থেকে বাঁ পায়ের ভলিতে গোল করে যান তিনি। ক্রোয়েশিয়ার বিদায় নিশ্চিত করে দেয় ওলাজারবালের গোল। ফের ওলমোর ক্রস থেকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ওলাজারবাল গোল করে যান।
কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স ও সুইৎজারল্যন্ডের বিজয়ীর বিরুদ্ধে খেলবে স্পেন।