উচ্ছ্বাস: স্পেনের প্রথম গোলের পরে তোরেস। গেটি ইমেজেস
নেশন্স লিগ
ইটালি ১ স্পেন ২
অবশেষে রবের্তো মানচিনির ইটালির অশ্বমেধের ঘোড়া থামল। টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার বিশ্বরেকর্ড গড়ার পরে সান সিরোতে উয়েফা নেশন্স লিগের উত্তেজনাপূর্ণ সেমিফাইনালে ইউরো চ্যাম্পিয়নদের ২-১ হারিয়ে দিল স্পেন।
ইউরোতে ওয়েম্বলির সেমিফাইনালে প্রচুর সুযোগ নষ্ট করে সে দিন তারা টাইব্রেকারে হেরেছিল। নেশন্স লিগ অবশ্যই ইউরোর মাপের প্রতিযোগিতা নয়। তবু লুইস এনরিকের দলের জন্য ইউরোর ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিয়ে গেল এই জয়। আর তাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফেরান তোরেস। স্পেনের দু’টি গোলই তাঁর। দু’টি গোলই এল মিকেল ওয়ারসাবালের ক্রস থেকে। রবিবার স্পেন ফাইনাল খেলবে বেলজিয়াম বনাম ফ্রান্স ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে।
ইটালিকে বুধবার অবশ্য একটা অর্ধেরও বেশি সময় দশ জনে খেলতে হল। তারা যখন ০-১ পিছিয়ে, ৪২ মিনিটের মাথায় লিয়োনার্দো বোনুচ্চি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন। সের্খিয়ো বুসকেৎসকে কনুই দিয়ে আঘাত করেছিলেন বোনুচ্চি। গোটা ম্যাচে মানচিনির সেই ইটালিকে খুঁজে পাওয়া গেল না, যারা ইউরোতে ঝড় তুলেছিল। ফেডেরিকো কিয়েসার দুর্দান্ত প্রতিআক্রমণের দৌড় থেকে তৈরি সুযোগের সদ্ব্যবহার করে লোরেঞ্জো পেলেগ্রিনি গোল করলেও ততক্ষণে ৮৩ মিনিট কেটে গিয়েছে। দ্বিতীয় গোলের রাস্তা আর খুলতে পারেনি ইটালি।
স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে বার্সেলোনার ১৭ বছরের মিডফিল্ডার গাভিকে শুরু থেকে নামিয়ে দেন। স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে অভিষেক ঘটালেন নতুন বিস্ময় প্রতিভা। যদিও স্পেনের জয়ের নায়ক ফেরান তোরেস। ২০২০-র সেপ্টেম্বর থেকে স্পেনের হয়ে ১১টি গোল করে ফেললেন তিনি। ১৭ মিনিটে প্রথম গোলটি কঠিন জায়গা থেকে দুর্দান্ত ভলিতে করলেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দ্বিতীয় গোলটি হেড থেকে। ইটালির জন্য অস্বস্তি রেখে গেল ঘরের মাঠে নিজেদের গোলকিপার জানলুইজ়ি ডোনারুমার উদ্দেশে গ্যালারি থেকে ভেসে আসা বিদ্রুপ।