প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের বন্দনায় ক্রিকেটবিশ্ব
Cricket

সৌরভই পাল্টেছে ভারতকে: নাসের

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক জানিয়েছেন, লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভের অভিনব উৎসবের কারণ অবশ্যই ছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২০ ০৩:৩০
Share:

আগ্রাসী: এখন বিরাটদের এই আক্রমণাত্মক মেজাজের নেপথ্যে সৌরভের আগ্রাসন। বলছেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেন। ফাইল চিত্র

লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে জার্সি উড়িয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই দৃশ্য ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে সারা জীবনের জন্য। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হিসেবে সে দৃশ্যের সাক্ষী ছিলেন নাসের হুসেন। এবং মাঠে দাঁড়িয়ে সেই নতুন ভারতীয় দলের হার-না-মানা মানসিকতা দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন। প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রথাগত মানসিকতার আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন সৌরভ। তিনি অধিনায়ক হওয়ার আগে অনেক নরমসরম দল ছিল ভারত।

Advertisement

একটি চ্যানেলে কথোপকথনে নাসের বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটকে একেবারে বদলে দিয়েছে সৌরভ। আগে কিন্তু ভারত খুবই নরমসরম দল ছিল। সৌরভ আসার পরে প্রত্যেকে আগ্রাসী মেজাজ দেখাতে শুরু করে মাঠে।’’

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক জানিয়েছেন, লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভের অভিনব উৎসবের কারণ অবশ্যই ছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ভারতে ওয়ান ডে সিরিজ ড্র করার পরে ওয়াংখেড়েতে জামা খুলে মাঠের মধ্যে দৌড়েছিলেন ফ্লিনটফ। তক্কে তক্কে ছিলেন সৌরভও। লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট জিততেই পাল্টা জবাব দিতে ভোলেননি। নাসেরের কথায়, ‘‘ভারতে ফ্লিনটফ অসাধারণ খেলেছিল। সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে শেষের ওভারে দুরন্ত বল করেছিল। শেষ উইকেট পাওয়ার পরে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। জামা খুলে ফেলেছিল মাঠেই। সেই দৃশ্যটা মনে রেখেছিল সৌরভ।’’

Advertisement

ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালের ঘটনা টেনে এনে হুসেন আরও বলেন, ‘‘সেই সময়ে ৩২৫ রান কিন্তু কম ছিল না। সেই রান তাড়া করে জেতা অবশ্যই কঠিন ছিল। কিন্তু সৌরভ জানত, উইকেট একেবারে ব্যাটিং সহায়ক। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট করতে শুরু করে ও। তার পরেও ১৪৬ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলাম আমরা। তার পরে জেতার জন্য আর কী করতে হত?’’

ভারত সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ জেতে যুবরাজ সিংহ ও মহম্মদ কাইফের দুরন্ত ইনিংসের সৌজন্যে। ৬৩ বলে ৬৯ রান করেন যুবরাজ। ৭৫ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন কাইফ। হুসেন বলছিলেন, ‘‘সহবাগ, সৌরভ, সচিন, দ্রাবিড়কে আউট করার পরে ভাবিনি আমরা হারব। সৌরভ নিজেও স্বীকার করেছিল, ও ভাবেনি ম্যাচ জিতে যাবে। কিন্তু কাইফের জন্য সেই ম্যাচ মনে রাখা উচিত প্রত্যেকের। কী অসাধারণ ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছিল। বুঝেছিলাম, ম্যাচ হেরেছি। কিন্তু জিতেছিল ক্রিকেট।’’

আরও পড়ুন: রবি শাস্ত্রী নয়, প্রাক্তন অজি তারকাকে সেরা কোচ বললেন ইশান্ত শর্মা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement