সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
মাত্র চল্লিশ মিনিটেই সাকলিন মুস্তাকের হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় ১৫ বছর আগের একটি ঘটনার উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রাক্তন অফস্পিনার এক অন্য সৌরভকে তুলে ধরলেন।
একসময়ে সৌরভ ও সাকলিন একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছেন। অফ স্পিনের মায়াজালে সৌরভকে সম্মোহীত করার চেষ্টা করতেন সাকলিন। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কও স্টেপ আউট করে পাক স্পিনারকে গ্যালারিতে ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করতেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক প্রসঙ্গে সাকলিন বলছেন, ‘‘২০০৫-০৬ সালে ইংল্যান্ড সফরে খেলতে গিয়েছিল ভারত। তখন আমি সাসেক্সের হয়ে খেলতাম।’’
সাসেক্সের বিরুদ্ধে তিন দিনের একটা প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল ভারতের। সেই ম্যাচ খেলেননি সৌরভ। সেই সময়ে খারাপ সময় কাটিয়ে মাঠে ফেরার চেষ্টা করছিলেন সাকলিন। ইউটিউবে প্রাক্তন পাক স্পিনার বলেছেন, ‘‘দুটো হাঁটুতেই আমার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ৩৬-৩৭ সপ্তাহ আমি শয্যাশায়ী ছিলাম। মানসিক দিক থেকেও ভেঙে পড়েছিলাম।’’
ভারত বনাম সাসেক্স-এর সেই তিন দিনের ম্যাচ প্রসঙ্গে সাকলিন বলছেন, ‘‘সৌরভ ওই ম্যাচটায় খেলেনি। খেলা দেখতে এসেছিল। সাসেক্স ব্যাট করার সময়ে ব্যালকনি থেকে সৌরভ আমাকে দেখতে পেয়েছিল। আমি সৌরভকে খেয়াল করিনি।’’ সাকলিনকে দেখে সাসেক্সের ড্রেসিং রুমে যান মহারাজ। পুরনো স্মৃতি হাতড়ে প্রাক্তন অফ স্পিনার বলেছেন, ‘‘আমাদের ড্রেসিং রুমে এসে সৌরভ আমার হাঁটুর খোঁজখবর নেয়। আমার পরিবার কেমন আছে জানতে চায়। তার পরে আমরা প্রায় চল্লিশ মিনিট কথা বলি।’’ ওই চল্লিশ মিনিটের কথাবার্তায় সাকলিনের মন জিতে নিয়েছিলেন সৌরভ। সাকলিনের মন থেকে দূর হয়ে গিয়েছিল যাবতীয় বিষণ্ণতা।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। তাঁর দেশের অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতোই সাকলিন বলছেন, ‘‘অধিনায়ক হিসেবে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছে সৌরভ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশীয় ক্রিকেটকে একই ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সৌরভ।’’