ভাজ্জির থেকে সেরাটা বের করে এনেছিলেন সৌরভ। —ফাইল চিত্র।
মহম্মদ আজহারউদ্দিন তাঁর প্রথম ক্যাপ্টেন। এর পরে একাধিক ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে খেলেছেন হরভজন সিংহ।
তাঁর কেরিয়ারে কোন ক্যাপ্টেনের প্রভাব সব চেয়ে বেশি? দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া এই প্রশ্নটাই করেছিলেন ভাজ্জিকে। উত্তর দিতে বেশি সময় নেননি এই অফ স্পিনার। ৩৯ বছর বয়সী হরভজনের সাফ জবাব, ‘‘আমার জীবনে সৌরভে গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রভাব সব থেকে বেশি। কে আমার পাশে রয়েছে আর কে নেই, তা কেরিয়ারের একটা সময়ে আমি জানতামই না। সেই সময়ে সৌরভ আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমাকে সমর্থন করেছিল।’’
নির্বাচকরাও সেই সময়ে পঞ্জাবতনয়ের পাশে ছিলেন না। তাঁর মুখের উপরে অনেক কথা বলে দিতেন। ভাজ্জি বলছেন, ‘‘নির্বাচকরা এমন সব কথা বলতেন যেগুলো আমার পক্ষে সর্বসমক্ষে বলা সম্ভব নয়। সেই সময়ে সৌরভ যদি ক্যাপ্টেন না হত, তা হলে অন্য কোনও অধিনায়ক আমাকে এতটা সাহায্য করত কি না জানা নেই। যদিও কোনও ক্রিকেটার আমার কেরিয়ারকে তুলে ধরার চেষ্টা করে থাকে, তা হলে সে সৌরভ। সৌরভ যদি না থাকত, তাহলে আমার পক্ষে একশো টেস্ট খেলা সম্ভব হত না।’’
আরও পড়ুন: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ‘অবাস্তব’ মন্তব্যে খুলতে পারে আইপিএল-এর ভাগ্য
সৌরভের নেতৃত্বে ভয়ডরহীন এক বোলার হয়ে উঠেছিলেন হরভজন। ক্যাপ্টেন হিসেবে সৌরভ প্রতিটি বোলারকে স্বাধীনতা দিতেন। ভাজ্জি বলছেন, ‘‘সৌরভ সব সময়ে বোলারদের পাশে থাকত, স্বাধীনতা দিত। বোলার হিসেবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার জন্য যা যা দরকার, সৌরভ সব সুযোগই দিত।’’
মহারাজের সর্মথন পেয়েই ডাকাবুকো এক বোলার হয়ে উঠেছিলেন হরভজন।