রবি শাস্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব অবশেষে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
অনিল কুম্বলে ভারতের প্রধান কোচ হয়ে আসার পর থেকেই গত কয়েক দিন ধরে সৌরভের বিরুদ্ধে পরপর তোপ দাগেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর শাস্ত্রী। তাঁর বক্তব্য ছিল, কোচ নির্বাচনের জন্য তাঁর স্কাইপ ইন্টারভিউয়ের সময় সৌরভ অপর প্রান্তে ছিলেনই না।
এ বার সৌরভের পাল্টা তোপ, ‘‘আমারও একটা পরামর্শ আছে রবি শাস্ত্রীর প্রতি। এর পর কখনও ভারতীয় দলের কোচের পদের জন্য আবেদন করলে দয়া করে সশরীরে ইন্টারভিউয়ে আসবে। কোথাও ছুটি কাটাতে চলে যাবে না।’’ এ দিন সৌরভ সিএবি-তে বলেন, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম এটা এড়িয়ে যাব। কিছু বলব না। কিন্তু বিতর্কটা ক্রমশ বাড়ছে দেখে এ বার বলতে বাধ্য হচ্ছি। রবি যদি ভেবে থাকে আমার জন্য ও ভারতীয় দলের কোচ হতে পারেনি, তা হলে ও বোধহয় মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।’’
শাস্ত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁকে ইন্টারভিউয়ে প্রশ্ন করেন উপদেষ্টা কমিটির অন্য দুই সদস্য সচিন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। তাঁকে সম্ভাব্য কোচ হিসেবে কোনও গুরুত্ব দেননি বলেই সৌরভ তখন বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ জানান শাস্ত্রী। এমনকী ভারতের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর এও পরামর্শ দেন সৌরভকে যে, ভবিষ্যতে বোর্ডের দায়িত্বকে তিনি যেন সম্মান দেন।
তিনি যে রবি শাস্ত্রীর স্কাইপ ইন্টারভিউয়ের সময় সিএবি-র সভায় ছিলেন, তা অবশ্য স্বীকারই করে নেন সৌরভ। তবে সেই ঘটনার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। সন্ধ্যায় এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘‘সে দিন বিকেল পাঁচটায় যে আমাকে সিএবি-র ওয়ার্কিং কমিটির সভায় যেতে হবে, অন্তত ঘণ্টাখানেকের জন্য ইন্টারভিউয়ে থাকতে পারব না, তা বোর্ডকে আমি আগে থেকেই ই-মেল করে জানিয়ে দিয়েছিলাম। কথামতো আমি পাঁচটার সময় বেরিয়েও যাই। কিন্তু ৪০-৪৫ মিনিট পর আমার কাছে একটা এসএমএস আসে, যার বক্তব্য ছিল, ‘রবিকে এখন পাওয়া যাবে, আমরা কি ইন্টারভিউটা শুরু করব?’ ওখানে সচিন, লক্ষ্মণদের মতো কিংবদন্তিরা থাকতে আমি তখন কী করে ওদের না করে দিতাম? আর আমি জানতাম, রবির ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা ছিল সোয়া চারটেয়।’’
কমিটির অন্য দুই সদস্য সচিন বা লক্ষ্মণ, কেউই এই ব্যাপারে মুখ খোলেননি। কেন তাঁরা সৌরভের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না? এই প্রশ্নে সৌরভ বলেন, ‘‘এটা আমার কথা। তাই আমিই বলছি। অন্যদের কথা আমি বলতে পারব না। ওই কমিটিতে তো শুধু আমি ছিলাম না, আরও অনেকেই ছিল। এমনকী ইন্টারভিউ রুমে কমিটির বাইরেরও অনেকে ছিলেন। তা হলে আমাকেই দায়ী করা হচ্ছে কেন? এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।’’