সোফিয়া ডাঙ্কলে। ছবি: টুইটার থেকে
ঠিক যখন বর্ণবিদ্বেষে বিপর্যস্ত ইংল্যান্ডের ক্রিকেট, সেখানে এক মহিলার হাত ধরে তৈরি হল নতুন ইতিহাস। সেই ইতিহাস গড়লেন সোফিয়া ডাঙ্কলে। প্রথম মহিলা কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামলেন সোফিয়া।
ছোটবেলা থেকেই লড়াই করতে শিখে গিয়েছিলেন। তাঁর মা একা মানুষ করেন তাঁকে। মায়ের সেই লড়াই উদ্বুদ্ধ করেছে সোফিয়াকে। প্রতিবেশীর কথায় ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তাঁর সঙ্গেই ছেলেদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্রিকেট শেখা শুরু ২২ বছরের এই অলরাউন্ডারের। দেশের হয়ে ১৫টি টি২০ খেলে ফেললেও টেস্ট ম্যাচে প্রথম খেললেন তিনি। সেই সঙ্গে ইতিহাসে নাম উঠল তাঁর। টেস্টের টুপি পেলেন জর্জিয়া এলউইসের হাত থেকে। ইংল্যান্ডের মহিলা দলের হয়ে খেলা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার ইবনি রেইনফোর্ড বার্টের লেখা একটি বার্তাও পড়েন তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটে খেলেছিলেন ইবনি।
সোফিয়া বলেন, “মেয়েদের ক্রিকেটে টেস্ট খেলা এমনিতেই খুব কম হয়। সেখানে সুযোগ পাওয়া খুব বড় ব্যাপার। মানুষ যে মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেট দেখতে চাইছে, এটা ভেবেই খুব আনন্দ লাগছে। আমি দারুণ উত্তেজিত এই সুযোগ পেয়ে। সব মেয়েদের এই সৌভাগ্য হয় না।”
২০১২ সালে মিডলসেক্সের হয়ে খেলার সুযোগ পান সোফিয়া। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। ১৫টি টি২০ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৭৮ রান এবং ১টি উইকেট।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বিধ্বস্ত বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে। একের পর এক ইংল্যান্ড ক্রিকেটারের দিকে আঙুল উঠেছে। বেশ কিছু টুইটে তাঁদের এমন মানসিকতা সামনে এসেছে। তেমনই একটা টালমাটাল সময় কৃষ্ণাঙ্গ সোফিয়া এলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটে, কুলীন সংসারে।