football

জার্মানিতে আজ ডার্বি, ভয় জয় করতে চান মেসি

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বনাম এফসি শালকে মানেই ধুন্ধুমার দ্বৈরথ। বুন্দেশলিগার এই ডার্বি যখন বরুসিয়ার ঘরের মাঠে খেলা হয়, ডর্টমুন্ড শহরের ছবিটাই বদলে যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০৫:২৭
Share:

মহড়া: ম্যাচে ফিরতে মরিয়া। বার্সার অনুশীলনে মেসি এবংপরীক্ষা: বরুসিয়ার অন্যতম ভরসা জাডন স্যাঞ্চো প্র্যাকটিসে মগ্ন। (ইনস্টাগ্রাম)

বদলে যাওয়া পরিবেশে যখন ফুটবল ফেরার অপেক্ষায় জার্মানি, তখন ম্যাচ খেলার জন্য ছটফট করছেন লিয়োনেল মেসি।

Advertisement

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বনাম এফসি শালকে মানেই ধুন্ধুমার দ্বৈরথ। বুন্দেশলিগার এই ডার্বি যখন বরুসিয়ার ঘরের মাঠে খেলা হয়, ডর্টমুন্ড শহরের ছবিটাই বদলে যায়।হলুদ-কালো জার্সি পরে, স্কার্ফ গলায় জড়িয়ে, হাতে পতাকা নিয়ে সিগন্যাল ইদুনা পার্ক স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই উৎসব শুরু করে দেন বরুসিয়া সমর্থকেরা। ৮১ হাজার ৩৬৫ জন দর্শক খেলা দেখতে পারেন স্টেডিয়ামে। গ্যালারির কিছু অংশে কোনও চেয়ার নেই। প্রায় আঠাশ হাজার দর্শক হলুদ-কালো জার্সি পরে পুরো ম্যাচটাই দাঁড়িয়ে দেখেন, গান গেয়ে ফুটবলারদের উৎসাহ দেন। সারা বিশ্বে যা পরিচিত ‘ইয়েলো ওয়াল’ নামে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ১১০ বছরের ইতিহাসে কখনও ফাঁকা থাকেনি গর্বের এই ‘ইয়েলো ওয়াল’। কিন্তু শনিবারই ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখবেন বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। এই কারণেই জার্মান সংবাদমাধ্যম শনিবারের দ্বৈরথকে ‘ঘোস্ট ডার্বি’ বলে চিহ্নিত করছে।

করোনা সংক্রমণ রুখতে দু’দলের ফুটবলার, ম্যানেজার, সাপোর্ট স্টাফ, ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক, মাঠের কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী ও সাংবাদিক মিলিয়ে মাত্র ৩২২ জনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়ামে থাকার।

Advertisement

বার্সেলোনায় দাঁড়িয়ে মেসিও মারণ ভাইরাস নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চান না। সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। স্পেনের এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘‘সব জায়গাতেই সংক্রমিত হওয়ার ভয় আছে। আর বাড়ি থেকে বেরোনোটাই তো ঝুঁকির। তাই আমি মনে করি, এটা নিয়ে আমাদের বেশি ভাবার দরকার নেই। বেশি ভাবলে আমরা কোনও লক্ষ্যই ছুঁতে পারব না। ব্যক্তিগত ভাবে আবার ম্যাচ খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফুটবল ফেরানোর জন্য যা যা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা সফল করতে সাহায্য করা। তবে সেই সঙ্গে আমাদের সবাইকে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্কতাও মেনে চলতে হবে। এই ব্যাপারে আত্মতুষ্ট হওয়ার কোনও জায়গা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement