সম্বর্ধনা: শিলিগুড়ি দলের সদস্যদের। —নিজস্ব চিত্র
জয়ের স্বাদ পেতে কেটে গেল দীর্ঘ বাইশ বছর। শুক্রবার অনূর্ধ্ব ১৯ স্কুল ফুটবলের ফাইনালে সাউথ কলকাতা দলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে খেতাব জিতেছে শিলিগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পর্ষদের দল। শেষবার যখন শিলিগুড়ির কোনও দল এই স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তখন এ দিনের জয়ী দলের কোনও খেলোয়াড়েরই জন্মই হয়নি। ২২ বছর পরে জেলার দলের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া শিলিগুড়ি জুড়ে। এর আগে অনূর্ধব ১৭ বিভাগে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শিলিগুড়ি। শনিবার ট্রফি নিয়ে শহরে পৌঁছল দলের সকলে। এ দিন এনজেপি পৌঁছতেই খেলোয়াড়দের সম্বর্ধনা দিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পর্ষদের আধিকারিকরা।
১১ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ায় শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। যোগ দিয়েছিল ১৫টি জেলা দল। আর শিলিগুড়ির খেলা পড়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর। ৩০ মিনিট করে দু’টি অর্ধ মিলিয়ে মোট ৬০ মিনিটের ম্যাচ ছিল। প্রথম দিনেই তিনটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে শিলিগুড়ির দলকে। প্রথমে মুর্শিদাবাদ ও বাঁকুড়ার দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে শিলিগুড়ি। সেদিনই সেমিফাইনালের ম্যাচ খেলতে হয় শিলিগুড়িকে। সেখানে উত্তর ২৪ পরগণার দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা। খেতাব জয়ের গন্ধ তখনই পেয়ে গিয়েছিল শিলিগুড়ি। শুক্রবার ফাইনালে শিলিগুড়ির দল মুখোমুখি হয় সাউথ কলকাতা দলের। গোটা ম্যাচ ধরে সমানে সমানে টক্কর চলে। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-৩ গোলে কলকাতার দলকে হারিয়ে খেতাব জেতে শিলিগুড়ি। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এসেছে শিলিগুড়ির ঝুলিতে। দলের সাইড ব্যাক বিকি শৈব পেয়েছে সেই পুরস্কার। ফাইনাল ম্যাচেও সেরা নির্বাচিত হয়েছে শিলিগুড়ি কৃষ্ণমায়া হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র বিকি। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছে শিলিগুড়ির রাজীব সিংহ। দলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কোচ অরিজিৎ বসাক। এ বার বিকি, কুশল, রাজীব ছাড়াও বাংলা দলের ট্রায়ালে শিলিগুড়ি থেকে সুযোগ পেয়েছে আরও পাঁচ জন। তারা হল, সুরজ কাম্তি, রহিত শৈব, নীতেশ ছেত্রী, রাজা ছেত্রী, অতিশ সাহা।
জেলা বিদ্যালয় পর্ষদের সভাপতি মদন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ছেলেরা প্রতিকূলতা জয় করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিলিগুডিকে গর্বিত করেছে।’’