লড়াই: মুম্বইয়ের চক্রব্যূহে বন্দি ব্রাইট। শুক্রবার। আইএসএল
আইএসএল
এসসি ইস্টবেঙ্গল ০ মুম্বই সিটি এফসি ১
রবি ফাওলার কি আগামী মরসুমের দল গড়ার জন্য ফুটবলারদের ট্রায়াল নিচ্ছেন? সপ্তম আইএসএলের অন্যতম সেরা দল মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে শুক্রবার লাল-হলুদ কোচের প্রথম একাদশ নির্বাচন দেখে এই প্রশ্নটাই মনের মধ্যে উঠছে। প্রত্যেক ম্যাচেই বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করছেন
লিভারপুর কিংবদন্তি।
ব্রাইট এনোবাখারে যোগ দেওয়ার পরেই বদলে গিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। অথচ সেরা অস্ত্রকে বাদ দিয়েই দল নামিয়েছিলেন ফাওলার। হয়তো ভেবেছিলেন, প্রথমার্ধে মুম্বইকে কোনও মতে আটকে রেখে পরে গোল করার জন্য ঝাঁপাবেন। কিন্তু লাল-হলুদ কোচের এই পরিকল্পনাই ব্যুমেরাং হয়ে গেল। ব্রাইট না থাকায় প্রথমার্ধে অ্যান্টনি পিলকিংটন, জা মাগোমাও নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছিল। ওদের তিন জনের বোঝাপড়া দুর্দান্ত। মুম্বইয়ের মতো লিগ টেবলের শীর্ষ স্থানে থাকা দুরন্ত দলের বিরুদ্ধে এই ঝুঁকি নেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। বার বার মনে হচ্ছিল, রাজু গায়কোয়াড়-হীন লাল-হলুদ রক্ষণের পক্ষে খুব বেশিক্ষণ অ্যাডম লি ফন্দে, উগো বুমোসদের আটকে রাখা সম্ভব নয়। আমার আশঙ্কাই সত্যি হল। ২৭ মিনিটে রক্ষণের ভুলেই গোল করে মুম্বইকে এগিয়ে দেয় মউরতাদা ফল।
লাল-হলুদ পেনাল্টি বক্সের সামনে থেকে বুমোস বল ভাসিয়ে দিয়েছিল মউরতাদার উদ্দেশে। হেড করে গোল করে মুম্বই ডিফেন্ডার। অবাক হয়ে দেখলাম, মউরতাদাকে বাধা দেওয়ার কোনও চেষ্টাই করল না স্কট নেভিল ।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাইট নামার পরেই ম্যাচে ফেরে লাল-হলুদ। একাধিক গোলের সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু ড্যানি ফক্স, হরমনপ্রীত সিংহদের ব্যর্থতায় সাত ম্যাচ পরে হেরে প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জনের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
এসসি ইস্টবেঙ্গল: দেবজিৎ মজুমদার, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় (রানা ঘরামি), স্কট নেভিল, ড্যানি ফক্স (অ্যারন জোসুয়া আমাদি), নারায়ণ দাস, মাঠি স্টেনম্যান (ব্রাইট এনোবাখারে), মিলন সিংহ (ওয়াহেংবাম লুওয়াং), সুরচন্দ্র সিংহ (মহম্মদ রফিক), জা মাগোমা, অ্যান্টনি পিলকিংটন ও হরমনপ্রীত সিংহ।
মুম্বই সিটি এফসি: অমরিন্দর সিংহ, অ্যামে রানাওয়াড়ে, মউরতাদা ফল, মেহতাব সিংহ, বিগনেস দক্ষিণামূর্তি (মন্দার রাও দেশাই), রওলিন বর্জেস, আহমেদ জোসুয়া, সাই গোদার্দ, উগো বুমোস (রেনিয়ার ফার্নান্দেস), বিপিন সিংহ (বিক্রম সিংহ) ও অ্যাডম লি ফন্দ্রে।