টার্মিনেটরের ফিটনেস মন্ত্র চাইলেন শুভমনরা

শিখর, শুভমনদের স্বপ্নের বডি বিল্ডারকে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিল ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের সম্প্রচারকারী চ্যানেল। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৮
Share:

জনপ্রিয়: ৭২ বছরেও প্রাণবন্ত শোয়ারজেনেগার। ফাইল চিত্র

শুক্রবারই ‘টার্মিনেটর’ সিরিজের নতুন ছবি ‘ডার্ক ফেট’ প্রকাশিত হয়েছে। আর্নল্ড শোয়ারজেনেগার অভিনীত এই ‘সায়েন্স ফিকশন’ ছোটবেলা থেকেই জায়গা করে নিয়েছে শিখর ধওয়ন, শুভমন গিলদের মনে। অভিনয় জগতে বিখ্যাত হলেও, আর্নল্ড জনপ্রিয় হয়েছেন তাঁর বডি বিল্ডিংয়ের জন্য। ২০ বছর বয়সে ‘মিস্টার ইউনিভার্স’ হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন। ‘মিস্টার অলিম্পিয়া’ জিতেছেন সাত বার।

Advertisement

শিখর, শুভমনদের স্বপ্নের বডি বিল্ডারকে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিল ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের সম্প্রচারকারী চ্যানেল।

৭২ বছরের এই ব্যক্তিত্ব কী ভাবে নিজেকে ফিট রাখেন? কী তাঁর খাদ্যাভ্যাস? ভারতীয় ক্রিকেটারদের সামনে সে সব নিয়েই মুখ খুললেন আর্নল্ড। শিখর ধওয়নের প্রশ্ন, ‘‘এই বয়সেও কী ভাবে নিজেকে এত ফিট রাখেন?’’ শোয়ারজেনেগারের উত্তর, ‘‘প্রত্যেক দিন ব্যায়াম করি। সেখানে কোনও ফাঁক থাকে না। আমার কাছে ব্যায়াম একটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। বয়সের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন করেছি। এখন আমি ভেগান। শরীর ফিট থাকার পিছনে সেটা একটা বড় কারণ। ব্যায়াম করার সঙ্গে তুমি ঠিক মতো খাওয়ার না খেলে কোনও লাভ হবে না।’’

Advertisement

শুভমনের প্রশ্ন, ‘‘বডি বিল্ডার হওয়ার পরিকল্পনা কোন বয়স থেকে শুরু করেছিলেন? আপনার অনুপ্রেরণা কে?’’ আর্নল্ড বলছিলেন, ‘‘১৫ বছর বয়সে হারকিউলিস দেখেছিলাম। সেই ছবির অভিনেতা রেজ পার্কের চেহারা দেখে আমার মনে হয়েছিল, কী করে পেশি এত ফুলিয়ে তোলা যায়! কী করে এই চেহারা বানানো সম্ভব! তখন থেকেই বডি বিল্ডার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। আমার মতো অনেক বডি বিল্ডারের অনুপ্রেরণা রেজ পার্ক। তাঁর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।’’

আর্নল্ড নিজেও হারকিউলিসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির নাম ‘হারকিউলিস ইন নিউ ইয়র্ক’। এ ছাড়াও একাধিক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। টার্মিনেটরের মতোই আর্নল্ডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনীত ছবির নাম কমান্ডো। যেখানে একটি গাছের গুড়ি কাঁধে নিয়েও হাঁটতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেই হলিউডে জনপ্রিয় তিনি।

বাঁ-হাতি পেসার খলিল আহমেদ আর্নল্ডকে প্রশ্ন করেন, ‘‘সব চেয়ে কঠিন ব্যায়াম করার সময় আপনার মানসিকতা কী রকম থাকে?’’ আর্নল্ডের জবাব, ‘‘আমি ভালবেশে ব্যায়াম করি। ফিটনেস আমাকে বাড়তি প্রেরণা দেয়। বিশ্বের কাছে ফিট হিসেবে আমি পরিচিত। সেটাই আমাকে বাড়তি তাগিদ দেয় ব্যায়াম করার। প্রত্যেক দিন সকালে উঠে জিমে যাই। ৪৫ মিনিট গা ঘামাই। তার পরে ফিরে ব্রেকফাস্ট। এটা আমার প্রত্যেক দিনের সূচি। কখনও মনেই হয় না আজ আমি ক্লান্ত। ব্যায়াম করেই যেন সারা দিনের এনার্জি পাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement