শোয়েব-হরভজনের মাঠের লড়াইয়ের রেশ গড়িয়েছিল মাঠের বাইরেও।
মাঠের লড়াইয়ের জের ছড়িয়ে পড়েছিল মাঠের বাইরে। হরভজন সিংহকে মারার জন্য ভারতের টিম হোটেলে এসে খোঁজ করেছিলেন প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার।
২০১০ সালের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে 'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস' বলেছেন, “ম্যাচের শেষে হরভজনকে মারার জন্য আমি হোটেলে গিয়েছিলাম। লাহৌরে ও আমাদের সঙ্গে ঘুরেছে, এক সঙ্গে বসে খেয়েছে, ওকে আমাদের পঞ্জাবী ভাই বলেই মনে করি। আর হরভজন কি না আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করল! হরভজন জানত,শোয়েব আসছে। আমি ওকে খুঁজে পাইনি। তার পরে আমি নিজেই শান্ত হয়ে যাই। পরের দিন সকালে হরভজন এসে আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করে।”
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ টেস্টের সিরিজ অসম্ভব, জানিয়ে দিলেন সৌরভ
আরও পড়ুন: ‘ধোনিকে পাশে পেয়েছিল বিরাট, আমার সে রকম সৌভাগ্য হয়নি’
ডাম্বুলায় ভারত ২৬৮ রান তাড়া করছিল। শেষের দিকে ম্যাচ রীতিমতো জমে যায়। শেষের দিকে ২৪ বলে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল ৩৬ রান। ব্যাট করছিলেন সুরেশ রায়না ও হরভজন সিংহ। ৪৭ তম ওভারে বল করতে আসেন শোয়েব। ভাজ্জি দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে দেন। তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়। শেষের আগের ওভার করতে আসেন শোয়েবই। ছক্কা মেরে রায়না চাপ কমান। শেষ ওভারে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল সাত রান। রায়না আউট হওয়ায় ভারত আবার চাপে পড়ে যায়। শেষ বলে জেতার জন্য তিন রান দরকার ছিল টিম ইন্ডিয়ার। মহম্মদ আমিরের বল থেকে জেতার জন্য রান তুলে শোয়েবের দিকে তাকিয়ে ভাজ্জি মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়তে থাকেন। শোয়েবও তাঁকে সাজঘরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন। মাঠের লড়াই মাঠেই শেষ হয়নি। শোয়েব তার পর ভাজ্জিকে খুঁজতে হোটেলে যান। দুই দেশের ক্রিকেটযুদ্ধে যে বাইশ গজেই দাঁড়ি পড়েন, বরং মাঠের বাইরেও তা ছড়িয়েছিল, সেই পুরনো কথাই ফাঁস করলেন শোয়েব।