ক্রিকেটমস্তিষ্কে নাজিরের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন সহবাগ, বলেছেন শোয়েব আখতার।
বীরেন্দ্র সহবাগের চেয়েও প্রতিভায় এগিয়ে ছিলেন ইমরান নাজির। কিন্তু, ক্রিকেটমস্তিষ্কে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রশাসনও পাশে থাকেনি তাঁর। এমনই মনে করছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার।
৪৪ বছর বয়সি ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ বলেছেন, “আমার মনে হয় না সহবাগের মতো মস্তিষ্ক ছিল ইমরান নাজিরের। আবার নাজিরের মতো প্রতিভা ছিল না সহবাগের। প্রতিভার দিক দিয়ে কোনও তুলনাই হয় না। কিন্তু আমরাই ওকে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। এক বার সাইড ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর নাজিরকে নিয়মিত খেলাতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা তা শোনেনি।”
আরও পড়ুন: গড়াপেটায় যুক্ত ছিলাম, ১৯ বছর পর দোষ স্বীকার সেলিম মালিকের
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত অ্যাকশন, ভাল ছন্দ, দেশের হয়ে নিশ্চিত ভাবেই খেলবে অর্জুন, মত বিশ্বকাপজয়ী পেসারের
পাকিস্তানের হয়ে আট টেস্টে ৪২৭ রান করেছিলেন নাজির। ৭৯ এক দিনের ম্যাচে তিনি করেছিলেন ১৮৯৫ রান। অন্য দিকে, বীরেন্দ্র সহবাগ ১০৪ টেস্টে করেন ৮৫৮৬ রান। এক দিনের ক্রিকেটে ২৫১ ম্যাচে তিনি করেন ৮২৭৩ রান। নাজিরের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রশাসনকে দায়ী করেছেন শোয়েব। তিনি বলেছেন, “দুর্ভাগ্যের হল, আমরা প্রতিভাকে লালন করতে পারি না। আমরা সহবাগের চেয়েও ভাল ক্রিকেটার পেতে পারতাম নাজিরের মাধ্যমে। ওর হাতে সব ধরনের শট ছিল। তার সঙ্গে ও ভাল ফিল্ডারও ছিল। আমরা ওকে দারুণ ভাবে ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি।”
ইমরান নাজিরের কেরিয়ারে জাভেদ মিয়াঁদাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন শোয়েব। তিনি বলেছেন, “যখনই নাজির ভাল খেলেছে, তা হয়েছে মিয়াঁদাদের কারণে। মিয়াঁদাদ সব সময় নাজিরকে খেলাতে বলেছে। খারাপ শট খেললে জাভেদ ভাই আবার ওকে মেসেজ পাঠিয়েছে। যাতে ফোকাস ঠিক থাকে।”