ছবি সংগৃহীত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিলের জন্য ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকে আক্রমণ করে বসলেন শোয়েব আখতার। ইউটিউবে নিজের দেশের একটি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি আর্থিক অসাম্যের কথাও তুলেছেন।
শোয়েবের অভিযোগের সারমর্ম, ভারতের আর্থিক শক্তির সামনে মাথা নোয়াচ্ছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড। এমনকি, অতীতের সেই বিতর্কিত ‘মাঙ্কিগেট’ অধ্যায় নিয়েও কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, প্রথমে হইচই করলেও পরে চুপ হয়ে যায় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড। ২০০৮-এ ‘মাঙ্কিগেট’ বিতর্কে হরভজন সিংহ অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে তুলকালাম হয়ে যায় ক্রিকেট বিশ্বে। আইসিসি বিচারক পর্যন্ত জল গড়ায়।
‘‘কখনও দেখি ওরা (পড়ুন ভারত) মেলবোর্নে সহজ পিচ পাচ্ছে। কখনও বর্ণবৈষম্যমূলক কথা বলেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। কারণ, সিরিজ বয়কটের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি অস্ট্রেলীয়দের জিজ্ঞেস করতে চাই, তোমাদের নৈতিকতা কোথায় গেল?’’ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তুলেছেন শোয়েব। এখানেই না থেমে যোগ করছেন, ‘‘বল খোঁটার জন্য বাচ্চাদের তোমরা শাস্তি দিতে পারো। আবার কেউ আপত্তিজনক কথা বলেও পার পেয়ে গেল। যখন ওরা (পড়ুন ভারতীয় বোর্ড) সিরিজ বয়কটের হুমকি দিল, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড বলল, ও রকম কিছু ঘটেনি। এটা কী ধরনের নীতি হল?’’ তাঁর আরও তোপ, ‘‘এত সব নাটক না করে সত্যি কথাটা বলে ফেললেই তো হয় যে, তোমাদের (পড়ুন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড) টাকার দরকার। টাকা আসে ভারতীয় বোর্ড থেকে তাই চুপচাপ থাকো।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। তাঁর দাবি, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতেই পারত। কিন্তু আমি আগেই বলেছি, ওরা (পড়ুন ভারতীয় বোর্ড) হতে দেবে না। আইপিএলের কোনও ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না, বিশ্বকাপ বাতিল হয় হোক।’’ ভারতীয় বোর্ড বা ‘মাঙ্কিগেট’ সফরে উপস্থিত কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত শোয়েবের মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে শোয়েবের দেশ পাকিস্তান শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিলের বিপক্ষে ছিল। শোয়েব সুর মেলানোয় তাই কেউ কেউ অবাক নন।
এ দিকে পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার মুদাস্সর নজ়র বলেছেন, এখনকার দলের মতো তাঁদের সময়ের পাকিস্তানকে নিভৃতবাসে কাটাতে হলে ক্রিকেটারেরা নিজেদের মধ্যে হয়তো মারামারিই শুরু করে দিতেন! এতটাই ‘একতা’ ছিল তখনকার পাক দলগুলিতে! ভারতের বিরুদ্ধে প্রচুর ম্যাচ খেলা প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘নয়ের দশকের মতো অতীতের কোনও পাকিস্তান দলকে এ ভাবে নিভৃতবাসে থাকতে হলে কী অবস্থা হত কে জানে! হয়তো ক্রিকেটারেরা মারামারি শুরু করত। বা এতদিনে একে অন্যের গলায় ছুরি বসিয়ে দিত!’’