ইনদওরে শার্দুলের দাপট। ছবি— এপি।
আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে লাগাতার খেলার ফলেই শাণিত হয়েছে তাঁর বোলিং স্কিল। সেই কারণে বল হাতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন বলে জানালেন শার্দুল ঠাকুর।
মঙ্গলবার ইনদওরে সবার লক্ষ্য ছিল যশপ্রীত বুমরার দিকে। চার মাস চোটের কবলে থাকার পরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ‘বুম বুম’ বুমরার। তিনি কেমন বল করেন সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সবাই। বুমরার নামের পাশে লেখা রয়েছে একটি উইকেট। শার্দুল নেন তিনটি উইকেট। নবদীপ সাইনি ও কুলদীপ যাদব দু’টি করে উইকেট নেওয়ায় দ্বীপরাষ্ট্রের ইনিংস শেষ হয় ১৪২ রানে। ইনদওরের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট শার্দুল ঠাকুর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ রকম পারফরম্যান্স করতে চান সবাই। শার্দুল বলছেন, ‘‘গত ২-৩ বছর ধারাবাহিক ভাবে আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাওয়ার ফল পাচ্ছি।’’ কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস, চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সি পরে আইপিএল-এ খেলেছেন শার্দুল ঠাকুর। আইপিএল থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
ইনদওরে তিনি উইকেট পেলেই দর্শকরা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে। অথচ কেরিয়ারের প্রথম দিকে তাঁকে প্রবল দর্শক বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিল। সচিন তেন্ডুলকরের বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলতে নামায় তাঁকে ব্যঙ্গ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক ঘটেছিল শার্দুলের। মাত্র ১০টা ডেলিভারি করার পরেই চোট তাঁকে ছিটকে দেয়। সেই শার্দুল ঠাকুর হোলকার স্টেডিয়ামে নজর কাড়েন। তাঁর সাফল্যের পিছনে রয়েছে পরিশ্রম। শার্দুল বলেছেন, ‘‘আমাকে পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচে যখন এই পরিশ্রমের ফল পাওয়া যায় তখন ভালই লাগে।’’
টি টোয়েন্টি ক্রিকেট বড় কঠিন। খুব দ্রুতই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে যায়। শার্দুল বলছেন, ‘‘টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে দ্রুত উত্থান-পতন ঘটে। যত খেলা যাবে, ততই অভিজ্ঞতা হয়। অভিজ্ঞতা থেকেই শিখতে হয়। টেস্ট ফরম্যাটে অনেক সময় পাওয়া যায়। নিজের খেলা নিয়ে ভাবা যায়। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে দ্রুত এবং নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভাল পারফরম্যান্স করে শার্দুল ঠাকুর চাপ বাড়ালেন নির্বাচকদের উপরে। এ রকম পারফরম্যান্স করে গেলে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে তো ডাকতেই হবে।