হতাশ: কাতার ওপেনে শুরুতেই হোঁচট খেলেন মারিয়া। ফাইল চিত্র
এই সপ্তাহে টেনিসের প্রাক্তন এক নম্বরদের লড়াইয়ের সপ্তাহ। যে লড়াইয়ে নামতে চলেছেন রজার ফেডেরার। কিন্তু যে লড়াইয়ে নেমে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিলেন মারিয়া শারাপোভা।
এক নম্বরের সিংহাসন ফিরে পাওয়ার জন্য ফেডেরার নামছেন রটারডামে। আর শারাপোভা নেমেছিলেন কাতার ওপেনে। কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই রোমানিয়ার মোনিকা নিকুলেস্কুর কাছে ৬-৪, ৪-৬, ৩-৬ হেরে বিদায় নিলেন মেয়েদের প্রাক্তন এক নম্বর। যার পরে শারাপোভা বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়েছিল প্রথম সেট আর দ্বিতীয় সেটের মাঝপথ পর্যন্ত আমি ভালই খেলেছি। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। আমি লম্বা র্যালিগুলো খারাপ খেলিনি। তাই শারীরিক ভাবে ভাল জায়গায় আছি, এটুকু বলতে পারি।’’
টেনিস ইতিহাসের বয়স্কতম এক নম্বর খেলোয়াড় তিনি হতে পারবেন কি না, তা ঠিক হয়ে যেতে পারে রটারডামের টুর্নামেন্টে। ৩৬ বছর বয়সে ফেডেরার যদি আবার এক নম্বর খেলোয়াড় হয়ে যান, তা হলে সেই শিরোপা তাঁর মাথাতেই বসবে। রাফায়েল নাদালকে টপকে এক নম্বরে উঠতে গেলে এই টুর্নামেন্টে অন্তত সেমিফাইনালে উঠতে হবে ফেডেরারকে। কিন্তু তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে এক দীর্ঘদিনের বন্ধুকে খেলতে হতে পারে ফেডেরারকে। তিনি স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা।
কুড়িটা গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ফেডেরার তাঁর সম্ভাব্য কোয়ার্টার ফাইনাল প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমি যে কারও বিরুদ্ধে ও রকম একটা পরিস্থিতিতে লড়াই করতে তৈরি। কিন্তু নেটের উল্টো দিকে স্ট্যান থাকা মানে যেন কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলা। একটা কঠিন ম্যাচ।’’ এর পরেই ফেডেরার আরও যোগ করেছেন, ‘‘আমি আবার এক নম্বর র্যাঙ্কিং ফিরে পেতে চাই। এবং সেটা এই সপ্তাহেই ফিরে পেতে চাই। তবে আমি জানি, ব্যাপারটা মোটেও সোজা হবে না। কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিতেই আমি এই কাজটা করতে চাই।’’
ফেডেরার নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন, আবার র্যাঙ্কিং ফিরে পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার হবে। ‘‘এক নম্বর হতে পারলে সেটা দুর্দান্ত ব্যাপার হবে,’’ বলছিলেন ফেডেরার, ‘‘পাশাপাশি টুর্নামেন্টে স্ট্যানকে আমার দিকে দেখতে পাওয়াটাও উপভোগ করছি। আরও ভাল লাগছে, ও চোট সারিয়ে ফিরে এল বলে।’’
এই টুর্নামেন্টে খেলার ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেন ফেডেরার। যা নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘‘মেলবোর্নে খেলার সময় আমি র্যাঙ্কিংয়ের ব্যাপার কিছু মাথায় রাখিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পরে বিশ্রামে ছিলাম। তার পরে মনে হল, রটারডামে খেলে দেখাই যাক না কী হয়। সেই মতো এখানে খেলতে এসেছি। তবে রটারডামে খেলতে পেরে আমি খুশি।’’ এর আগে দু’বার এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ফেডেরার।