বিশ্বকাপে বিজয় শঙ্করের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল নির্বাচকদের। —ফাইল চিত্র।
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালটা ভুলে যেতে চান বিজয় শঙ্কর। তাঁর ১৯ বলে ১৭ রান ভারতকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছিল।
সে দিন দীনেশ কার্তিক জ্বলে উঠেছিলেন। শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেন বহু যুদ্ধের সৈনিক কার্তিক।
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের পরে কার্তিকের প্রশংসা হলেও শঙ্করকে দুয়ো দিচ্ছিলেন সবাই। সেই সব অস্বস্তিকর মুহূর্ত থেকে মুক্তির উপায় শঙ্কর পেয়েছিলেন বদ্রিনাথ ও লক্ষ্মীপতি বালাজির পরামর্শ থেকে। সেই সব পরামর্শ অবশ্য তাঁরা দিয়েছিলেন অনেক আগেই। কিন্তু সেই সময়ে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের দর্শন বোঝার মতো বয়স ছিল না শঙ্করের। পরে জীবনের বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে শঙ্কর দেখেছেন, বদ্রিনাথ ও বালাজির পরামর্শ মেনে চললে অস্বস্তিকর মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
আরও পড়ুন: অবাস্তব! মত নোভাকের
আরও পড়ুন: বার্সার দুর্গে ক্ষুধার্ত মেসি
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের পরে দুঃসহ সময় থেকে কী ভাবে বেরিয়ে এলেন শঙ্কর, তা নিজেই জানিয়েছেন একটি স্পোর্টস চ্যানেলের অনুষ্ঠানে। শঙ্কর বলেছেন, ‘‘বদ্রি ও বালাজির কাছ থেকে গোড়ার দিকে দুটো দারুণ শিক্ষা পেয়েছিলাম। বদ্রি আমাকে বলেছিল, তুমি যদি ভাল হও, তা হলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুমি খেলবেই। কেউ তোমায় আটকাতে পারবে না।’’ আর ভারতের প্রাক্তন পেসার শঙ্করকে বলেছিলেন, ‘‘অস্বস্তিকর মুহূর্তগুলো সামাল দেওয়া নিয়েই জীবন।’’
সেই সময়ে বালাজির এহেন পরামর্শ বোঝার মতো ক্ষমতা ছিল না বিজয় শঙ্করের। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দেখেছেন, দুই সিনিয়র ক্রিকেটার কত দামি শিক্ষা তাঁর মনে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন সেই কবে। যা এখন জীবনের কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজে দেয় শঙ্করকে।