নায়ক: খলিলের বলে স্কুপ শট মারছেন মুশফিকুর। পিটিআই
আইসিসি শাস্তির কোপে তিনি এখন নির্বাসিত। কিন্তু রবিবার শাকিব আল হাসানের চোখ ছিল নয়াদিল্লিতে ভারত বনাম বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিকেই।
ভারতের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের পরে শাকিব অভিনন্দন জানালেন মুশফিকুর রহিমদের। ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘‘চাপের মুখে দুর্দান্ত টিম পারফরম্যান্স। অভিনন্দন বাংলাদেশ। তোমরা এই জয়ের মাধ্যমে দেশকে এনে দিয়েছ একটি গৌরবময় মুহূর্ত।’’
রবিবার দুর্দান্ত জয়ের পরে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার বলেছেন, ‘‘এই জয় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দলে শাকিব ও তামিম না থাকলেও আমরা নিজেদের প্রতি আস্থা হারাইনি। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই খেলেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৪০-এর উপরে রান তাড়া করা সব সময়েই কঠিন কাজ। কিন্তু আমরা কখনওই স্নায়ুচাপে ভুগিনি। ঠান্ডা মাথায় ১৪৮ রান তাড়া করে গিয়েছি।’’
সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাও। তিনি বলছেন, ‘‘শুরুটা কী ভাবে হচ্ছে তার উপরেই অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে। আজ আমাদের বোলাররা ভাল বল করেছে। ফিল্ডিংও ভাল করলাম। যা দেখে ভাল খেলার বাড়তি প্রেরণা পেয়েছিল ব্যাটসম্যানরাও। এ সবেরই মিলিত ফল এই জয়। ছেলেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্যই আমার কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছে।’’
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের জয় আনতে এ দিন বড় ভূমিকা নেন মুশফিকুর রহিম। ৪৩ বলে তাঁর অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসে ছিল আটটি চার ও একটি ছয়। ম্যাচের সেরা মুশফিকুর বলছেন, ‘‘এ রকম দর্শকঠাসা স্টেডিয়ামে ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোর স্বাদই আলাদা। এই পিচে স্পিনারদের মারা কষ্টকর হচ্ছিল। তাই বিপক্ষের জোরে বোলারদেরই মারার জন্য
বেছে নিয়েছিলাম।’’
মাহমুদুল্লাহ-সহ এ দিন বাংলাদেশের হয়ে বল করেছেন আট জন। তা নিয়ে অধিনায়ক বলছেন, ‘‘মুস্তাফিজ়ুর আমাদের সেরা বোলার। বাকিদের পরিস্থিতি বুঝে বল করিয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘মুশফিকুর দারুণ খেলেছে। ওর সঙ্গে সৌম্যর জুটিটা খুব কার্যকরী ছিল। এ ছাড়াও জীবনের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওপেন করতে নেমে মহম্মদ নইমও দারুণ সাহসী ইনিংস খেলেছে আজ।’’