দুরন্ত: স্ট্রেট সেটে জিতে ফাইনালে হালেপ ও সেরিনা। এএফপি, রয়টার্স
মার্গারেট কোর্টের ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড ছোঁয়ার পথে সেরিনা উইলিয়ামসের সামনে বাধা শুধু সিমোনা হালেপ। বৃহস্পতিবার উইম্বলডনে চেক প্রজাতন্ত্রের বার্বোরা স্ট্রাইকোভাকে ৬-১, ৬-২ উড়িয়ে দিয়ে সেরিনা পৌঁছে যান ফাইনালে। সেরিনার ম্যাচের আগে প্রথম সেমিফাইনালে রোমানিয়ার তারকা সিমোনা হালেপ ৬-১, ৬-৩ গেমে ছিটকে দেন অষ্টম বাছাই এলিনা সোয়াইতোলিনাকে।
এই নিয়ে ১১ নম্বর উইম্বলডন ফাইনালে উঠলেন যুক্তরাষ্ট্রের তারকা। ৩৭ বছর বয়সি সেরিনা টেনিসের পেশাদার যুগে সবচেয়ে বেশি বয়সি মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠলেন। ম্যাচের পরে সেরিনা বলেন, ‘‘ফাইনালে ফের নামার সুযোগ পেয়ে দারুণ লাগছে। ছন্দে ফিরতে আমার শুধু কয়েকটা ম্যাচ খেলতে হত। প্রতিটা ম্যাচে উন্নতি করেছি। এখন বেশ আত্মবিশ্বাসী লাগছে। এ বার আমার পছন্দের জিনিসটা করতে পারব। সেটা হল, কোর্টে নেমে টেনিস খেলা। প্রতি দিন সকালে উঠে আমাকে ফিট থাকার জন্য পরিশ্রম করতে হয়। দর্শকদের সামনে খেলার জন্য তৈরি থাকতে হয়। সবাই সেটা করতে পারে না। আমি যা করি, সেটা ভালবেসেই করি।’’ ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে সেরিনার মত, ‘‘হালেপ খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। আমাদের মধ্যে সব সময়ই কড়া লড়াই হয়। ফাইনালে নামতে মুখিয়ে রয়েছি।’’
হালেপ রোমানিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠার নজির গড়লেন। ২৭ বছর বয়সি এবং প্রতিযোগিতার সাত নম্বর বাছাই ২০১৮ সালে ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন। এই নিয়ে তিনি খেলোয়াড় জীবনের পাঁচ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে খেলবেন। ‘‘দারুণ লাগছে। তবে একই সঙ্গে আমি উত্তেজিত এবং স্নায়ুর চাপ অনুভব করছি। জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত,’’ বলেন হালেপ। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা কিন্তু সহজ ছিল না। গেমগুলো দীর্ঘক্ষণ চলেছে। খুব লড়াই করতে হয়েছে জিততে। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে দারুণ জায়গায় আছি। ম্যাচে যা কৌশল নিয়েছিলাম, সব ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পেরেছি।’’
এ দিকে, শুক্রবার পুরুষদের সিঙ্গলসের সেমিফাইনালে রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদালের লড়াই নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। ২০০৪ সালে মায়ামিতে প্রথম বার মুখোমুখি হয়েছিলেন রজার এবং রাফা। এগারো বছর পরে উইম্বলডনে ফের মুখোমুখি হচ্ছেন দুই টেনিস তারকা। দু’জনের মিলিত গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যা ৩৮ (ফেডেরার ২০, নাদাল ১৮)। সব মিলিয়ে তাঁদের ৪০তম লড়াইয়ের আগে পরস্পরের প্রশংসাই শোনা গেল রজার-রাফার মুখে। নাদাল বলেছেন, ‘‘টেনিসের ইতিহাসে ঘাসের কোর্টে সম্ভবত সেরা খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে আবার নামতে চলেছি। ফাইনালে উঠতে গেলে আমাকে নিজের সেরা টেনিস খেলতে হবে। রজারের বিরুদ্ধে আমার অনেক হার রয়েছে, অনেক জয়ও রয়েছে। তবে আমরা পরস্পরকে সম্মান করি। আমরা ভাল বন্ধু। যেই জিতুক এটা একই রকম থাকবে।’’