বাঁধনহীন । অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ তুলে সার্বিয়া। ছবি: এএফপি
ব্রাজিলের জন্য সময়টা সত্যিই ভাল যাচ্ছে না!
কোপা আমেরিকা থেকে নেইমারের নির্বাসনে যাওয়ার পাশাপাশি ভাইদেরও তাড়া করে ফিরল হার। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে অকল্যান্ডের নর্থ হারবার স্টেডিয়ামে শনিবার ফেভারিট ব্রাজিলকে ২-১ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল সার্বিয়া। স্বাধীন সার্বিয়ার প্রথম বিশ্বকাপ। টেনিসের এক নম্বর নোভাক জকোভিচের সার্বিয়া দলের উচ্ছ্বাসের ছবি পোস্ট করে নিজের দেশের ইতিহাস গড়া দেখে টুইট, ‘আমাদের তরুণ ফুটবল টিমটা নিয়ে প্রচণ্ড গর্বিত। বিশ্বকাপ!!! ব্রাভো মোমচি!!! (ব্রাভো ভাইরা!!!)।’
কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর গোটা টুর্নামেন্টে গোল না খাওয়া ব্রাজিলের হঠাৎ ফাইনালে হার কেন?
দুটো কারণ বলা হচ্ছে। এক সার্বিয়ান গোলকিপার পেডরাজ রাজকোভিচের দুর্ধর্ষ গোলকিপিং, অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন। আর অতিরিক্ত সময়ে ক্লান্তিকে হার মানিয়ে নেমানজা মাকসিমোভিচের ঠান্ডা মাথায় ব্রাজিলের গোলে বলটা রাখতে পারা। ব্রাজিল গোলকিপার জিন যা রুখতে পারেননি।
প্রচণ্ড বৃষ্টি আর কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার দাপটে গত তিন দিন নাজেহাল নিউজিল্যান্ড। দর্শকরা এর আগের ম্যাচ দেখতে এসে ভিজেছেনও। এ দিন যদিও ম্যাচ শুরুর আগে বৃষ্টি ছিল না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে স্ট্যানিসা মানডিচ আচমকা গোলে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর আশঙ্কার বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ব্রাজিল সমর্থকদের। তিন মিনিটের মধ্যেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের পেরেইরা জিনকিং চার জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সমতা ফিরিয়ে আশঙ্কার আকাশ পরিষ্কার করে দেন। অতিরিক্ত সময়ে ফের বিশ্বমানের সেভ রাজকোভিচের। না হলে সেখানেই ম্যাচ জিতে যায় ব্রাজিল। কিন্তু খেতাব ভাগ্যটা বোধহয় ছিল না পেরেইরাদের সঙ্গে।
না হলে অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে এ ভাবে গোল খান টুর্নামেন্টে ৫৭১ মিনিট অপরাজিত ব্রাজিল গোলকিপার!