মা কৃষ্ণা, স্ত্রী আরতি ও দুই ছেলে আর্যবীর ও বেদান্তের সঙ্গে কোটলার সংবর্ধনায় সহবাগ। ছবি: এএফপি।
বীরেন্দ্র সহবাগকে বিসিসিআইয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাঠ আর মাঠের বাইরে যেন সমান চমক! মাঠে সদ্য অবসরে যাওয়া ভারতের সর্বকালের বিধ্বংসীতম ওপেনারের বক্তৃতায়। আর মাঠের বাইরে কোটলার গ্যালারিতে।
সহবাগ এ দিন তাঁর ফেয়ারওয়েল বক্তৃতায় ভারতীয় অধিনায়কদের প্রসঙ্গে সবার নাম উল্লেখ করলেও এক বারের জন্যও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নাম মুখে আনেননি। যার পর সেই বিতর্ক আরও উস্কে উঠছে যে, ভারতীয় ক্রিকেটমহলের অনেকের মতো সহবাগ কি নিজেও তা হলে মনে করেন, তাঁর আরও কিছু দিন দেশের হয়ে খেলতে না পারার পিছনে ধোনিই! জাতীয় দলে তিনি যে-যে অধিনায়কের অধীনে খেলেছেন তাঁদের প্রসঙ্গে সহবাগ এ দিন বলেন, ‘‘আমি আমার প্রথম ক্যাপ্টেন অজয় জাডেজা থেকে শুরু করে গাঙ্গুলি (সৌরভ), দ্রাবিড়, কুম্বলেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ধন্যবাদ দিতে চাই সচিন তেন্ডুলকরকে।’’ কিন্তু এক বারও ধোনির নাম উচ্চারণ করেননি। ১ এপ্রিল, ১৯৯৯-এ জাজেডার অধিনায়কত্বে সহবাগের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক (মোহালিতে পেপসি কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচ), সেটা বোধহয় এত দিনে অনেকেই ভুলে গিয়েছেন।
কোটলার গ্যালারিতে আবার অন্য চমক! ডিডিসিএ এখনও সহবাগের নামে কিছু করে না উঠতে পারলেও এ দিন কোটলার দু’টো স্ট্যান্ডের নাম সহবাগের নামে করে ফেলল ভারতীয় বোর্ড। একটা ‘সহবাগ ৩১৯’। অন্যটা ‘সহবাগ ৩০৯’। একমাত্র এশীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সহবাগের দু’টো ট্রিপল সেঞ্চুরির রানকে স্মরণ করে। অবশ্য বোর্ড সূত্রের খবর, এটা হয়তো পাকাপাকি নয়। স্ট্যান্ডের নামকরণ এটাই থাকবে কি না, তা নির্ভর করবে ডিডিসিএ কী সিদ্ধান্ত নেয় তার উপর!
সহবাগের পরের প্রজন্মকে উৎসাহ দেওয়ার ধরণটাও তো যেন একেবারে তাঁর নিজস্ব কায়দায়! এ দিন তাঁর দুই ছেলে আর্যবীর আর বেদান্তকে বীরেন্দ্র সহবাগ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্যেই বলে দেন, ‘‘তোরা যদি আমার ৩১৯ রানের রেকর্ড যে কোনও ধরনের ক্রিকেটে ভাঙতে পারিস তা হলে ফেরারি কিনে দেব তোদের।’’